জিম্বাবুয়েকে বলা হয় বাংলাদেশের ‘বিপদের বন্ধু’। একসময় বড় বড় দলগুলো যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে চাইতো না, সেই সময় জিম্বাবুয়ে একের পর এক সিরিজ খেলে গেছে।
বাংলাদেশও তাদের দেশে সিরিজ খেলে এসেছে। আর প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে মানেই তো জেতার সমূহ সম্ভাবনা।
এখনও বাংলাদেশ যখন হারতে হারতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখনই স্মরণ করে জিম্বাবুয়েকে। এবারও তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। তবে এবার জিম্বাবুয়েকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে বাংলাদেশ দলই সেখানে খেলতে যাচ্ছে। ফলে অনেকদিন পর আফ্রিকার দেশটিতে গিয়ে সিরিজ জেতার একটা সুযোগ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে।
মাঠে টাইগারদের সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। সদ্যই খর্বশক্তির উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে মুমিনুলবাহিনী। সেই রেশ না কাটতেই আবার নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। কিউইদের বিপক্ষে তাদের মাটিতে এর আগে বাংলাদেশ কখনোই জিততে পারেনি। ফলে এই সফর থেকে খুব বেশি আশা করা যাচ্ছে না।
নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে আবার শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ হিসেবে শ্রীলঙ্কা তাদের ঘরের মাটিতে বরাবরই কঠিন। ওই সিরিজ শেষ করে জুনেই জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে টাইগাররা। সেখানে তিন ফরম্যাটের সিরিজ হবে। শোনা যাচ্ছে, ২টি করে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি হতে পারে।
এদিকে জুনের প্রথম সপ্তাহে আবার এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানোর কথা, কিন্তু ভারতের কারণে তা পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এজন্যই ওই সময়টা জিম্বাবুয়ে সফরের কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গণমাধ্যমকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী চৌধুরী সুজন গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'এফটিপিতে এশিয়া কাপের জন্য জায়গা রাখা আছে। তার পরপরই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে। এখন পর্যন্ত এভাবেই আছে। ‘
দৈনিক বগুড়া