বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় রোপা আমন ধান ঘরে তোলার ধুম পড়েছে। কৃষকের এতটুকু হাতে সময় নেই। মাঠের সোনা ঘরে তুলে কৃষানির জন্য নতুন শাড়ি আর অসচ্ছলতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দিন রাত পরিশ্রম চলছে। সকাল থেকে ধান কাটা ও সেই ধান মাঠ থেকে ঘরে তুলতে যেন সন্ধ্যা গড়িয়ে আধার নেমে আছে। কৃষানিদের ধান গাছের খড় ও ময়লা ধান গুলো পরিষ্কার করার ব্যস্ততায় সময় কাটছে। আগাম জাতের ধান বিনা-৭ ও ব্রি ধান-৪৯ ঘরে তুলতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগাম জাতের ধান বিক্রি করে চাষিরা অনেকটাই অর্থ সঙ্কট থেকে রেহাই পান।
এবার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ১১হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮’শত হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। অর্জিত ১১হাজার ৫’শত হেক্টর জমিতে উফশি এবং ৩’শত হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষ করা হয়েছে। প্রধান কিছু জাতে বেশি প্রাধান্য দেন এ অঞ্চলের কৃষকরা, যে গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিনা-৭, ব্রি-৪৯, ৫০, রনজিৎ, স্বর্না, মামুন, কাটারী ভোগ, আতপ জাতের ধান ।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এবং কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অগ্রাহয়ন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রোপা আমন কাটা শুরু হয়েছে। আশ্বিন ও কার্তিক এ দুই মাসে চাষিরা বিশেষ করে প্রান্তিক চাষিরা অভাব-অনটনের মধ্যে থাকেন। তাই আগাম জাতের ধান বাজারে আসায় চাষিরা সেই ধান আবাদের জন্য ঝুকে পড়েছেন। এবার রনজিৎ প্রতি বিঘা প্রায় ১২-১৪ মন ফলন হয়েছে। বীজতলা থেকে শুরু করে রোপা আমন ঘরে তুলতে যে পরিমান খরচ হয়েছে তাতে বর্তমান ধানের ভালো দাম থাকায় কৃষকরা খুশি। বর্তমানে রনজিৎ জাতের ধান বাজারে ১১০০থেকে ১১৫০টাকা মন বেচাকেনা হচ্ছে।
উপজেলার ভাটাহার গ্রামের কৃষক ইয়াছিন আলী, হাপুনিয়া গ্রামের কৃষক মোজাহার হোসেন, জানান এবার রোপা আমন ধানের ফলন কিছুটা কম হলেও দাম ভালো থাকায় আমরা খুশি । রোপা আমন ধান বিক্রয় করে আলু ও সরিষা চাষের জন্য অর্থ যোগান মেলছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম বলেন, দুপচাঁচিয়া অঞ্চলের আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং ভালো ফলন হওয়ায় ধান চাষে আগ্রহী এই অঞ্চলের কৃষকগন।
দৈনিক বগুড়া