বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুপচাঁচিয়ায় আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষক

দুপচাঁচিয়ায় আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষক

আগাম জাতের রোপা আমন ফসল ঘরে তোলার পাশাপাশি আলু চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় উপজেলার কৃষকরা। এই অঞ্চলের মাটি আলু চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায়, এবং গত দুই মৌসুমে আলুর ভালো ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় এ এলাকায় কৃষকেরা আলু চাষে বেশি আগ্রহী। এ অঞ্চলের মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় তুলনামূলক অধিক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু চাষ করা হয়। অন্যান্য রবি ফসলের চেয়ে আলু লাভজনক ফসল হওয়ায় কৃষকরা আলু চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তবে আলু বীজের দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা বিপাকে এই এলাকায় কৃষকরা। অনান্য কৃষির ন্যয় আলু চাষেও কৃষকদের কৃষি অফিস পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন। কৃষদের কৃষি কাজে বাড়ির স্কুল পড়ুয়া ছেলে -মেয়ে ও নারীরা বীজ আলু কেটে দিচ্ছেন। কাটার পর শ্রমিকরা তা জমিতে নিয়ে রোপণ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১১হাজার ৮’শত হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হয় এবং সাড়ে ৪হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং আলুর দাম ভালো পাওয়ায় এ এলাকায় কৃষকরা আলু আবাদের জন্য ঝুকে পড়েছেন। তাদের সংরক্ষিত আলু বীজ এবং সিসিডিবি, ব্র্যাক ও বিএডিসির সংগ্রহ করা বীজ নিয়ে আলু রোপণ করছে। কৃষকরা যেসব জাতের আলুর বীজ রোপণ করছে তার মধ্যে রোমানা , ডায়মন্ড,কাডিনাল, লাল পাকড়ি, ফাঁটা পাকড়ি ও গ্যানোলা বীজ উল্লেখযোগ্য। আলু চাষের জন্য কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত উপযুক্ত সময়। এই সময়ের মধ্যে আলু চাষের জন্য কৃষকরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রোপণ শুরু করে। ছাতিয়াগাড়ী গ্রামের কৃষক ফেরদৌস প্রামাণিক, জাহিদুল ইসলাম ও ইসমাইল বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর জমি আলু চাষের জন্যে বেশ ভালো। আলু রোপণের পর তা পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সময় লাগে আড়াই থেকে তিন মাস, তবে জমি থেকে বিক্রিয় হয় ও ভালো দাম পাওয়া যায় তাই আলু চাষে ঝামেলা নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম বলেন, আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের পরই জমিতে আলু ও সরিষা রোপন শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং আলুর দাম বেশি হওয়ার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে আলু চাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়া হলেও বীজের কোনো সংকট নেই ।

দৈনিক বগুড়া