মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দুপচাঁচিয়ায় কুমড়া বড়ি তৈরী করতে ব্যস্ত গ্রামীন নারীরা

দুপচাঁচিয়ায় কুমড়া বড়ি তৈরী করতে ব্যস্ত গ্রামীন নারীরা

প্রতি বছর শীতের মৌসুমে কুমড়া বড়ি তৈরির ধুম পড়ে। মাষকলাইয়ের ডাল দিয়ে গ্রামীন নারীদের হাতে তৈরি হয় কুমড়া বড়ি। এসব কুমড়া বড়ি চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া শালপা গ্রাম থেকে তোলা।

তাদের তৈরি এই বড়ি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। শীতে প্রতিটি ঘরে ঘরে চলছে কালাই আর চালকুমড়া দিয়ে বড়ি বানানোর মহোৎসব।সারা বছর টুকটাক বড়ি তৈরি হলেও শীতকালই কুমড়া বড়ি তৈরির পুরা মৌসুম। আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন এই ছয় মাস কুমড়া বড়ি তৈরি ও বিক্রি হয় ব্যাপক ভাবে।

সকাল থেকে বাড়ির উঠানসহ বিভিন্ন খোলা জায়গায় চলে কুমড়া বড়ি তৈরির কাজ। বাড়ির গৃহিণী থেকে শুরু করে পুরুষ এবং ছোট-বড় ও বয়স্ক সবাই মিলে কুমড়া বড়ি তৈরি করেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে চাটাইয়ের উপর সারি করে বিছানো সাদা মাসকালাইয়ের তৈরি কুমড়া বড়ি। রোদে শুকানো হচ্ছে ওই বড়িগুলো।একাজে ঝামেলাও অনেক পোহাতে হয়।

শীতের মৃদু রোদে বড়ি শুকানো বেশ ঝামেলার কাজ। তারপর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় তাহলে তো চিন্তার শেষ নেই। কারণ বড়ি যথাযথ রোদ না পেলে প্রকৃত স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।গৃহিণী সবিতা রানী জানান, মাসকালাই, চালকুমড়া, জিরা, কালোজিরা ও মৌরী মিশিয়ে বড়ি তৈরি করা হয়। এরপর বড়িগুলো ২-৩ দিন ভালোভাবে রোদে শুকানোর পর বিক্রি করা হয় । বড়িকে শক্ত করার জন্য এর সঙ্গে অল্প পরিমানে আলো চালের আটা মিশানো হয়।

দৈনিক বগুড়া