বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ভোগ রেখেই চালু হলো খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন...

দুর্ভোগ রেখেই চালু হলো খুলনার আধুনিক রেলস্টেশন...

ত্রুটিপূর্ণ প্লাটফর্ম সংষ্কার না করেই আজ রোববার থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে খুলনার আধুনিক রেলস্টেশনের। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকাগামী ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ খুলনা স্টেশন ত্যাগের মধ্য দিয়ে এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর নিয়মিত সব ট্রেন আসা-যাওয়া করবে স্টেশনটি থেকে।

তবে ট্রেন চলাচলের আগে নিচু প্লাটফর্ম সংস্কারের জন্য যে দাবি জানিয়েছিলেন খুলনা নাগরিক নেতারা সেটা কাগজে কলমেই রয়ে গেছে। ফলে ট্রেনে উঠতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে যাত্রী সাধারণকে।

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, আপাতত নতুন স্টেশন বা প্লাটফর্ম সংস্কারের কোনো পরিকল্পনা নেই। ফলে নিচু প্লাটফর্ম দিয়ে দুর্ভোগের সঙ্গেই চলাচল করতে হবে নগরবাসীকে।

খুলনার স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, পুরনো স্টেশন থেকে ইতোমধ্যে নতুন স্টেশনে সরঞ্জামাদি নেয়া হয়েছে। নতুন স্টেশনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে কম্পিউটারসহ ইন্টারনেট সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে। রোববার থেকে ট্রেন চলাচলের সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন থেকে টিকিট বিক্রিসহ সব ধরনের সেবা দেয়া হবে।

khulna-station

এর আগে গত ৯ নভেম্বর খুলনা রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন রেলওয়ে অতিরিক্তি মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. আনোয়ারুল হক। তিনি নবনির্মিত স্টেশন ভবনের সার্বিক অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে নবনির্মিত রেল স্টেশন বুঝে নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন।

এসব প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার খুলনার স্টেশন মাস্টারকে ট্রেন চালু করতে মৌখিক নির্দেশ দেন এবং একই সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক মো. মজিবর রহমানকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়।

khulna-station

রেলওয়ে সূত্র জানায়, দীর্ঘ আন্দোলন শেষে ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। এর নাম দেয়া হয় ‘রিমডেলিং অব খুলনা রেল স্টেশন অ্যান্ড ইয়ার্ড’। একাধিকবার সংশোধনের পর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়।

২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু ধীরগতির কারণে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। গত অক্টোবর মাসে এর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। স্টেশন নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৬০ কোটি টাকা।

সূত্রটি আরও জানায়, নতুন এই স্টেশনে নতুন তিনতলা স্টেশন ভবন, ১ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের তিনটি প্লাটফর্ম, ৭৮৪ বর্গমিটারের একটি লিংক করিডোর, সুবিশাল গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাত রয়েছে। সেই সঙ্গে নতুনভাবে স্থাপন করা হয়েছে রেললাইনের স্লিপার, লোকোসেড, রেস্টুরেন্ট, টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং রুম ও স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।

দৈনিক বগুড়া