বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ধুনটে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল

ধুনটে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে টানা এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি বগুড়ার ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ি ঘাট পয়েন্টে বাড়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থিতিশীল রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারি প্রকৌশলী আসাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে যমুনা নদীর পানি বেড়ে ১৬ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার সমতায় প্রবাহিত হয়। এরপর বিকেল ৪টার পর্যন্ত নদীর আর পানি বাড়েনি। বর্তমানে যমুনার পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে পানি আর বৃদ্ধি পাবে না। দু-একদিনের মধ্যে হ্রাস পেতে পারে।

এদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বৈশাখী, রাধানগর, নিউসারিয়াকান্দি, শহড়াবাড়ি, পুকুরিয়া, কৈয়াগাড়ি, বরইতলী, বানিয়াজান ও শিমুলবাড়ি চরের আউশ ধান ও পাট ক্ষেতে পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতে নদীর পূর্বতীরে আবদি জমি ভেঙে বিলীন হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে কমপক্ষে ২০০ মিটার অংশ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

উপজেলার বানিয়াজান গ্রামের শামীম তালুকদার বলেন, যমুনা নদীর পূর্বতীরে তিন একর জমিতে প্রায় ৫ বছর আগে বিভিন্ন জাতের কাঠ গাছ রোপন করেছিলাম। গত তিন দিনের ভাঙনে কাঠ গাছের বাগানের অর্ধেক অংশ নদীতে চলে গেছে। এছাড়া আমার বাগানের পাশে অনেকের আবাদি জমিও বিলীন হয়েছে।

উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, যমুনার পানি বেড়ে আবাদি জমি তলিয়ে পাট ও আউশ ধান গাছে পচন ধরে ক্ষতি হয়েছে। পানির প্রবল স্রোতে যমুনার পূর্বতীরে ফসলি জমি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এ বিষয় গুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়েছে। এছাড়া বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সমূহে সার্বক্ষনিক তদারকির ব্যবস্থা করা হয়েছে।  

 ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মোহন্ত বলেন, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে যমুনা নদীর পুরো এলাকা পরির্দশন করে মানুষের দুঃখ দূর্দশার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। বন্যা হলে জরুরী ভাবে সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে এলাকার মানুষের পাশে দাড়ানোর প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সার্বক্ষনিক নদীর এলাকা পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।

দৈনিক বগুড়া