বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামে বন্যার শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কার

নন্দীগ্রামে বন্যার শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কার

বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলায় গুলিয়া নাগর নদে কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানি এখন বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কারকাজ দ্রুতগতিতে করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে বাঁধের এই সংস্কার চলমান রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়নের এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাগর নদ। প্রতিবছর বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারণে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্ষা মৌসুমের আগেই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ মেরামত করা হয়। কিছু দিন আগে গুলিয়া গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার করে।

কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে পানি বেড়ে সেখানেই বাঁধের ছোট আকারের ভাঙন দেখা দেয়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে বাঁধটি। এ কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে এই বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বাঁধের ভাঙনকবলিত স্থানে বাঁশের তৈরী প্যালাসাইটিং দিয়ে সেখানে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে। এ ভাবে এক সপ্তাহ ধরে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে মেরামত করা হচ্ছে। বাঁধ মেরামত করায় ভাঙনকবলিত সাধারন মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে প্রতিদিনই নাগর নদের পানি বাড়ছে। এতে করে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। সেই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ১০০ মিটার বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে জরুরীভাবে মেরামত করা হচ্ছে।

গুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুকুল হোসেন বলেন, নাগর নদের পানি প্রতিদিন বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত করছেন। তবে গুলিয়া হাটের উত্তরপাড়া নাগর নদে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে। সেখানেও বাঁধ সংস্কার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানতে চাইলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাইবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, নাগর নদে প্রতিদিন পানি বাড়ছে। এছাড়া কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে পানি বেড়ে বাঁধের ছোট আকারের ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই নাগর নদের ১০০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কারকাজ করা হচ্ছে।

দৈনিক বগুড়া