বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামে ১৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আউশের চাষাবাদ

নন্দীগ্রামে ১৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আউশের চাষাবাদ

খরিপ-১ মৌসুমে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আউশের চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৭ হাজার ৮শ’ ৯৮ মেট্রিকটণ ধান। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলাকে শস্যভান্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়।

এ উপজেলার আবাদি জমিতে উর্বরশক্তি বেশি থাকায় বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এবারো তাই হয়েছে। ইরি-বোরো ধান কাটামাড়াই সম্পন্ন হবার পরেই কৃষকরা আউশ ধানের চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত হয়। বর্তমান সরকার আউশ ধানের চাষাবাদের জন্য অনেকটা গুরুত্ব দিয়েছে।

আউশ ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৭শ’ টাকা ব্যয়ে এ উপজেলার ২ হাজার ৩শ’ কৃষককে বিনামূল্যে ৫ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়। আউশ ধান কাটামাড়াইয়ের পর আমন ধানের চাষাবাদের পাশাপাশি রবিশস্যের চাষাবাদ করা হবে।

এ উপজেলার কৃষকরা ধান ও রবিশস্যের চাষাবাদে অনেকটা পারদর্শি। আউশ ধানের চাষাবাদে বাড়তি পানি সেচ দিতে হয় না। বৃষ্টির পানিতেই আউশ ধানের চাষাবাদ হয়। এ জন্য ব্যয়ও অনেকটা কম।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু জানিয়েছে, এ উপজেলায় চলতি খরিপ-১ মৌসুমে ১৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এ উপজেলার আবাদি জমির মাটিতে উর্বরশক্তি বেশি থাকায় ভালোভাবে বছরে ৩ বার ধানের চাষাবাদ করা যায়।

আশা করছি এবারো আউশ ধানের ফলন ভালো হবে। ধানের ফলন ভালো হলে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়ে থাকে। এ জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও আমরা মাঠে রয়েছি।

কৃষকদের যে কোন ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি। উপজেলার হাটলাল গ্রামের কৃষক মিনহাজুর রহমান হাবিব মাষ্টার জানিয়েছে, আমরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আউশ ধানের চাষাবাদ করেছি। ইতোমধ্যেই আউশ ধানের চারা রোপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশাকরি এবারো আউশ ধানের ফলন ভালো হবে। 

দৈনিক বগুড়া