বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নায়িকার শ্লীলতাহানি নাট্যনির্মাতার, রাতভর চলে লঙ্কাকাণ্ড

নায়িকার শ্লীলতাহানি নাট্যনির্মাতার, রাতভর চলে লঙ্কাকাণ্ড

হোটেলে দেখা করলে, তার সঙ্গে একরাত কাটালে মিলবে কলকাতার ছবিতে কাজ করার সুযোগ। টালিগঞ্জের পরিচালকের বিরুদ্ধে এমনই কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ আনলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী শান্তা পাল। 

এ বিষয়ে শান্তা পাল জানান, পরিচালকের সঙ্গে আমার আগে আলাপ হয়নি। উনিই প্রথম আমার সঙ্গে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন। যদিও আমি ওনাকে প্রথমে চিনতে পারিনি। তখন উনি গুগল সার্চ করে ‘রাজা রানী রাজি’, ‘পাগলু’, ‘বিন্দাস’, ‘নাকাব’সহ বহু জনপ্রিয় ছবিগুলি দেখতে বলেন। ওনার পুরনো ছবির শুটিংয়ের কয়েকটা ছবিও আমায় পাঠান। এরপর ওনার সঙ্গে আমার কথা হয়। 

এদিকে, সম্প্রতি নাট্যনির্মাতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন এই অভিনেত্রী শান্তা পাল। সম্প্রতি রাজধানীর রমনা থানায় অভিযোগ করেন তিনি। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ফয়সাল ফারহাদকে আটক করে। গত ১ নভেম্বর রাতে রমনা থানার সামনে এ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড বাধান শান্তা!

শান্তার অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, নানা প্রলোভনে শান্তাকে ২০১২ সাল থেকে শ্লীলতাহানি করে আসছে নির্মাতা ফয়সাল। এ বছরও একবার শ্লীলতাহানি করেছে ওই নির্মাতা।

ফয়সালকে আটকের পর শান্তা দাবি করেন, ফয়সালের কাছে টাকা পান তিনি। পাওনা টাকা তুলে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন পুলিশকে। কিন্তু পুলিশ এ প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় বেঁকে বসেন শান্তা। থানাতেই কখনো অজ্ঞান হওয়ার ভান, কখনো গড়াগড়ি, কখনো চিৎকার-চেঁচামেচি ও কান্নার অভিনয় করতে থাকেন। 

রোববার (১ নভেম্বর) বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে তার এমন কর্মকাণ্ড! একপর্যায়ে থানা থেকে তাকে বের করে দেয়া হলে থানার বাইরে রাস্তায় শুয়ে পড়েন শান্তা। বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় থানায় আসেন পুলিশের রমনা বিভাগের বড় কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দিবাগত রাত ১টার দিকে অনেকটা বাধ্য হয়েই শান্তার জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় ফয়সালকে। 

শান্তার এমন অদ্ভুত কাণ্ডে মুহূর্তের মধ্যে ভিড় জমান উৎসুক জনতা। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই তরুণীর নিরাপত্তায় নিয়োগ করা হয় চারজন মহিলা পুলিশ সদস্য। পরে অবশ্য শান্তা নিজেই অভিযোগ তুলে নিয়ে অভিযুক্ত যুবককে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

দৈনিক বগুড়া