বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পছন্দ করার পরে ২০ বছরেও মাধুরীকে পাননি যে পরিচালক

পছন্দ করার পরে ২০ বছরেও মাধুরীকে পাননি যে পরিচালক

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের শুরুটা খুব ভালো না হলেও বলিউডে নিজের জায়গা করে নিতে খুব বেশী সময় লাগেনি। ধীরে ধীরে মাধুরী এতোই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল পরিচালকরা তার শিডিউল পাওয়ার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করে থাকতো। এমনকি শোনা যায়, এক পরিচালককে দীর্ঘ ২০ বছর ঘুরিয়েও তাকে শিডিউল দেননি মাধুরী। 

১৯৯৪ সালের কথা। মাধুরী তখন ‘আঞ্জাম’ সিনেমার শুটিং করছিলেন। সেই সময় পরিচালক কুন্দন শাহ প্রথম কাজের প্রস্তাব নিয়ে যান মাধুরীর কাছে। কুন্দনের সিনেমার গল্পও পছন্দও করেছিলেন অভিনেত্রী। ওই সময়ে যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন, তার থেকে অন্যরকম ছিল গল্পটি। কিন্তু চিত্রনাট্যে এক যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মাধুরীকে ভেবেছিলেন কুন্দন। এ সময় তিনি ‘কেয়া কেহেনা’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তার পরিকল্পনা ছিল, ‘কেয়া কেহেনা’ সিনেমার কাজ শেষ করে মাধুরীকে নিয়ে নতুন সিনেমার কাজ শুরু করার।

 

কিন্তু গল্প পছন্দ হলেও সময় দিতে পারেননি মাধুরী। এরপরেই শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান তিনি। বিয়ের পরে বেশ কয়েক বছর চলচ্চিত্রের দুনিয়া থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। এরপর ২০০৫ সালে মাধুরী যখন বলিউডে ফেরার প্রস্তুতি নিতে থাকে ফের একবার তার কাছে যেয়ে হাজির হন কুন্দন। গুঞ্জন রয়েছে, সেবারও মাধুরী আরো কিছুটা সময় চেয়ে নেন।

এরপর ২০১৩ সালে মাধুরীকে ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার একটি আইটেম গানে দেখা যায়। তখন তৃতীয়বারের মতো মাধুরীর দ্বারস্থ হন কুন্দন। এবার আর অপেক্ষা নয়, বরং পরিচালককে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন মাধুরী। মাধুরী বলেছিলেন— ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের মা হওয়ার পর পর্দায় আর যৌনকর্মী সাজার ইচ্ছা নেই।

এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে পরিচালক কুন্দন বলেছিলেন, মাধুরী প্রস্তাব নাকচ করার পরে, প্রায় ১ হাজার জনের অডিশন নিয়েছিলেন তিনি। অডিশন শেষে একজনকে চূড়ান্ত করেন এই নির্মাতা। তিনিও ছিলেন দীক্ষিত। তবে মাধুরী নন, মীনাক্ষী দীক্ষিত। তাকে নায়িকা করে কুন্দন নির্মাণ করেন ‘পি সে পিএম তক’ সিনেমা। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় এটি। একজন নারী কীভাবে যৌনকর্মী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন তা নিয়ে গড়ে উঠে সিনেমাটির গল্প। কিন্তু বক্স অফিসে এ সিনেমার কোনো অস্তিত্ব ছিল না। কারণ কবে মুক্তি পায় আর কবে সিনেমা হল থেকে এটি নেমে যায় তা জানতেই পারেননি দর্শকরা।

দেবদাস এবং ২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা কলঙ্কে মাধুরী যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, ঠিক তেমন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন কুন্দন। তাছাড়া ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ‘দয়াবান’ সিনেমায় অভিনয় করেন মাধুরী। এতে বিনোদ মেহরার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বিতর্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু কুন্দনকে দীর্ঘ দু’দশক অপেক্ষা করিয়ে কেন ফিরিয়ে দিলেন, তার কারণ আজও অজানা। 

যদিও কুন্দনের দাবি—‘মাধুরী তাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখেননি, রূঢ়ভাবেও প্রত্যাখ্যান করেননি।

দৈনিক বগুড়া