বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরমাণু চুক্তি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনি

পরমাণু চুক্তি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনি

যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুললেই ইরান পরমাণু চুক্তিতে ফিরবে বলে জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেন, পদক্ষেপটা আগে যুক্তরাষ্ট্রকে নিতে হবে। ট্রাম্পের আমলে ইরানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই ইরান পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে পারে।

টেলিভিশন দেয়া এক ভাষণে খামেনি বলেন, ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটা বড় অপরাধ করেছিলেন। এর ফলে তার দেশেরই বদনাম হয়েছে। ওদের উপরই এখন সব চেয়ে বেশি চাপ তৈরি হয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন একই পথে চলে, তা হলে সেই নীতিও ব্যর্থ হবে।

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানসহ একাধিক দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারা ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকেও বেরিয়ে আসে। ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর তেহরানও সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৫-র পরমাণু চুক্তি মানা হবে না। তারাও সম্প্রতি প্রচুর পরিমাণে ইউরেনিয়াম মজুত করেছে বলে অভিযোগ।

২০১৫ সালের চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ছাড়াও যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীনও সই করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ইরান তিন দশমিক ৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে। কিন্তু তারা এখন সাড়ে চার শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার পর তারা ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম পরিশোধন করা হবে বলে জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আবার এই চুক্তিতে ফিরতে চান। তবে প্রশ্ন হলো এই ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ কে নেবে?

আইএইএ -এর ডিরেক্টর জেনারেল দুই দেশের সঙ্গেই কথা বলেছেন। তিনি এই মাসের গোড়ায় বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিতে ফিরতে পারে। তিনি বলেন, ‘অনেকগুলি বিষয় এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তবে এটুকুই বলতে পারি, এই চুক্তি বজায় রাখা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।’

খামেনি জানিয়েছেন, ইরান সরকার কোনো তাড়াহুড়ো করবে না। নিষেধাজ্ঞার ফলে স্থানীয় স্তরে জিনিসগুলি তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন,‘আমরা যে ঘোষণা করেছি, তা যদি যুক্তরাষ্ট্র মেনে নেয়, তা হলে সব সমস্যা মিটবে।’

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলি খুবই সন্দিগ্ধ। তারা মনে করে, ইরান আসলে পরমাণু বোমা তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু ইরানের দাবি, তাদের পরমাণু প্রকল্প শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্যই।

দৈনিক বগুড়া