শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী ছয় সুস্বাদু খাবারের রেসিপি

পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী ছয় সুস্বাদু খাবারের রেসিপি

পাহাড় বরাবরই বেশ আকর্ষণীয় জায়গা। নিজস্ব ছন্দে মেনে চলা প্রাকৃতিক পরিবেশ, পাহাড়িদের উৎসব- জীবনাচরণ সবকিছুই আমাদের মুগ্ধ করে তোলে। এ সবকিছুর সঙ্গে পাহাড়ি খাবারও তেমনি সুস্বাদু ও আকর্ষণীয়। বাঙালিদের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে অনেক পার্থক্য রয়েছে পাহাড়িদের খাবারের সঙ্গে।

বাঙালিরা যেমন তেল ছাড়া খাবার রান্নাই করতে পারেনা, পাহাড়িরা অন্যদিকে একপ্রকার তেল ছাড়াই খাবার রান্না করে। তাছাড়া খাবার উপকরণ, রান্নার প্রক্রিয়া ইত্যাদিতেও রয়েছে আমূল পরিবর্তন। পাহাড়িদের এই ভিন্নধর্মী খাবারই আমাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করে। তবে চাইলেই তো সবসময় এসব খাবার খেতে পাহাড়ে যাওয়া যায় না। আর তাই পাহাড়ি খাবারের স্বাদ পেতে ঘরেই তৈরি করুন পাহাড়ি কিছু খাবার। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী ছয় সুস্বাদু খাবারের রেসিপি সম্পর্কে-  

ব্যাম্বু চিকেন
পাহাড় যেমন বিচিত্র, পাহাড়ি খাবার ও তেমনি বিচিত্র। পাহাড়ের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার হলো সুমো হুরো এরা বা ব্যাম্বু চিকেন। বাঁশের মধ্যে রান্না করা হয় বলে এর নাম ব্যাম্বু চিকেন। দেশি মোরগের সঙ্গে আদা, রসুন, মরিচ এবং সাবারাং পাতা মিশিয়ে কাচা বাঁশের ভিতর ঢুকিয়ে কলাপাতা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় বাঁশের মুখ। কয়লা দিয়ে রান্না করা হয় এই বিশেষ খাবারটি।

বাঁশ কোড়ল
পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীদের প্রিয় খাবার বাঁশ কোড়ল। বাঁশের গোড়ার কচি নরম অংশকে বলা হয় বাঁশ কোড়ল। স্যুপ, মুন্ডি, মাংস দিয়ে বা ভাজি করে খাওয়া হয় এই বাঁশ কোড়ল। বর্ষার শুরুতে মাটি নরম হলে বাঁশ গজাতে শুরু করে। তাই শুধু মাএ বর্ষার সময় এই বাঁশ কোড়ল পাওয়া যায়।

নাপ্পি
কক্সবাজারের রাখাইন পল্লীতে এর প্রচলন বেশি। সাগর থেকে আনা ছোট চিংড়িকে তারা ‘মিম ইছা’ বলে থাকে। মিম ইছা রোদে শুকিয়ে লবণ ও বিভিন্ন মশলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় নাপ্পি। শুটকির মতো রান্না করা হয়, আবার অন্য খাবারের সঙ্গেও পরিবেশন করা হয়ে থাকে। তরকারিতে তেল এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে নাপ্পি।

হেবাং
চাকমাদের শুটকি খুব পছন্দের খাবার। লবণ যেমন রান্নার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তেমনি শুটকি ও তাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন রকম শুটকি দিয়ে ভাপের মাধ্যমে তৈরি করা হয় হেবাং। হেবাং মূলত রান্নার একটি পদ্ধতি, শুটকি ছাড়াও মাংস রান্না করা হয় এই পদ্ধতিতে। স্থানীয়রা হেবাং কে ‘সুগুনি হেবাং’ বলা হয়।

মুন্ডি
পাহাড়িদের নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি করা নুডুলস হলো মুন্ডি। মুন্ডি তৈরি করার জন্য প্রায় ১৫ দিনের মতো চাল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়।এই চালকে ছোট ছিদ্র যুক্ত চালুনির ওপরে রেখে পরিষ্কার করে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ঢেঁকিতে পিষে মন্ড তৈরি করা হয়। এই মন্ডকে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে চাপ দিলে নিচের দিকে চলে আসে নুডুলস এর মতো চিকন লম্বা মুন্ডি। তারপর মেশিনের সাহায্যে তৈরি করা হয় নুডুলস মুন্ডি। সঙ্গে মশলা,শুটকি, ধনিয়া পাতা দিয়ে পরিবেশন করা হয় মুন্ডি।

কেবাং
হেবাং এর মতো কেবাং হলো রান্নার সঠিক পদ্ধতি। বাঁশের ভেতর মাংস ঢুকিয়ে আগুনে ঝলসে বা কয়লায় পুড়িয়ে রান্না করা হয়। আদিবাসীরা এতে সাধারণত শূকরের মাংস ব্যবহার করলে ও অন্য মাংস ব্যবহার করলেও এই পদ্ধতিতে রান্না করা যায়। কেবাং পদ্ধতিতে মাছ বা মাংসের সঙ্গে সকল রকম মসলা একসঙ্গে দিয়ে পোড়ানো হয়।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই