বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফারিয়ার ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’র শুরুতে বিয়ে, শেষে ডিভোর্স

ফারিয়ার ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’র শুরুতে বিয়ে, শেষে ডিভোর্স

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি। বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টিকল না। গেলো বছরের ২৭ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাদের। দুজনের মতেই এই বিচ্ছেদ কার্যকর হয়।  

এদিকে, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’। এ নাটকে রায়হান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার। আর তার বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন শবনম ফারিয়া। পারিবারিক গল্পের নাটকটির সঙ্গে দ্রুত দর্শক একটি সম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছেন। একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে অভিনয়শিল্পী ও টিমের সদস্যদের সঙ্গে।

খুব শিগগির শেষ হয়ে যাচ্ছে নাটকটি। গত ৪ জানুয়ারি এ নাটকের শেষ লটের শুটিং শেষ হয়েছে। প্রিয় টিমের সঙ্গে শুটিং শেষ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন ফারিয়া-শামীম। কারণ এই নাটক তাদের যেমন এনে দিয়েছে দর্শকের ভালোবাসা, তেমনি এই নাটকের শুটিং সেটে জড়িয়ে আছে অজস্র স্মৃতি!

শবনম ফারিয়া যখন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে যান, তখন এ নাটকের সঙ্গে মাত্র যুক্ত হন। নাটকটির শুটিং সেটে বসে বিয়ের অতিথিদের তালিকাও তৈরি করেন তিনি। এসব স্মৃতি স্মরণ করে ফারিয়া বলেন- ফ্যামিলি ক্রাইসিসের প্রথম লটের সেটে আমার বিয়ের অতিথিদের তালিকা বানানো হয়। আমাদের পরিচালক মোস্তফা কামাল রাজের হাতের লেখা সুন্দর তাই, ভাইয়া কার্ডে অতিথিদের নাম লিখে দিয়েছিল! এ নাটকের ঠিক শেষ লটের আগের লটের শুটিং শেষ করেই পরেরদিন ডিভোর্স সাইন করতে যাই। ডিভোর্সের পর প্রথম শুটিং করি ফ্যামিলি ক্রাইসিসের শেষ লটের। আর নাটকটির শেষ লটের শুটিংয়ে রাজ ভাইয়ের বাবা মারা গেলেন!

নাটকটির পুরো টিম একসঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করেছিলেন। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন- শুটিংয়ে প্রতিদিন কেউ না কেউ কাউকে উপহার দিয়েছে। বাসা থেকে রান্না করে খাবার এনেছে, ভাবা যায়? গত থার্টি ফার্স্টে আমার বাসার বাইরে যাওয়ার পারমিশন ছিল না। সেলিম ভাই-রোজি আপাকে বললাম, রোজি আপা আম্মুকে কল করে তাদের বাসায় থাকার পারমিশন এনে দেন। পুরো টিম একসঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানালাম!

এই নাটকের শুটিংয়ের স্মৃতি কখনো ভুলতে পারবেন না ফারিয়া। এ অভিনেত্রী বলেন- মনির ভাইয়ের অসংখ্য ঝাড়ি খেয়েছি (বেশিরভাগ সময় কারণে মাঝে মাঝে অকারণেও)। এমন অসংখ্য গল্প, আদর, ভালোবাসা, মান-অভিমানের স্মৃতি নিয়ে এগিয়ে গেছে ফ্যামিলি ক্রাইসিস। কর্মক্ষেত্রে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু এই সিরিয়ালের স্মৃতি কোনোদিন ভুলব না! ধন্যবাদ টিম ফ্যামিলি ক্রইসিস। পুরো টিমকে মিস করব!

মারুফ রেহমান রচিত এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন- শর্মিলী আহমেদ, সোহেল খান, মুনিরা মুঠি, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, রুনা খান, মুকিত জাকারিয়া, জিয়াউল হক পলাশ, তামিম মৃধা, রাইসা, সৌমিক প্রমুখ। গত বছর ১ এপ্রিল থেকে সপ্তাহে মঙ্গল ও বুধবার রাত ৯টায় এনটিভিতে প্রচার হচ্ছে নাটকটি।

দৈনিক বগুড়া