সুন্দরী নারীদের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে বন্ধুত্ব করতেন। এরপর মোবাইল ফোনে নারীকণ্ঠে কথা বলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল তার ধান্দা।
র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর এমন প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন মাসুক মিয়া ওরফে মাসুদ নামের এক যুবক। বুধবার ভোর রাতে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানা এলাকায় মনোহরদী পৌরসভা বাজার থেকে প্রতারণায় অভিযুক্ত মাসুক মিয়া ওরফে মাসুদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তবে তার বাড়ি চট্টগ্রামে।
বুধবার র্যাব-৪ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, এই প্রতারক বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দেন। তার মূল অস্ত্র কণ্ঠ। সুললিত কণ্ঠে কখনো প্রবাসী নারী, কখনো পুলিশ অফিসার, কখনো মেয়ের মা, কখনো মেয়ের বোন পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে লাখ রাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
র্যাব-৪ জানায়, তাদের কাছে বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে, সুন্দরী মেয়ের ছবি দিয়ে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন জনকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান মাসুদ। এরপর নানাভাবে প্রলুব্ধ করে বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
ডিজিটাল প্রতারক মাসুক মিয়া Soniya Akter keya নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে Tanzim Mehezabin Khan Sneha নামের তরুণীর প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করেন। নিজেকে লন্ডন প্রবাসী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ছেলেদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। এভাবেই প্রতারণা করে এই পর্যন্ত বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মাসুদের কৌশল সম্পর্কে র্যাব জানায়, তার বন্ধুত্বের আমন্ত্রণে সাড়া দিলেই হতো মোবাইল নম্বর লেনদেন। দীর্ঘ সময় ধরে নারীকণ্ঠে বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপ, প্রেম-ভালোবাসার অভিনয়। একপর্যায়ে ফেসবুক বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন বলে জানাতেন। পথে সড়ক দুর্ঘটনা, কখনও হাসপাতালে ভর্তি। তাৎক্ষণিক মিটমাট করার জন্য প্রয়োজন ২৫/৩০ হাজার টাকা। কিন্তু সাথে এত টাকা নেই। তাই বন্ধুর শরণাপন্ন হতে হয়। অপর প্রান্তের পুরুষ বন্ধুও সরল বিশ্বাসে ভালোবাসার টানে টাকা পাঠিয়ে দেন। প্রতারক মাসুদ এরপর সেই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
প্রতারণার অভিযোগে মাসুদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
দৈনিক বগুড়া