আবর্জনা পরিস্কার করতে গিয়ে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আসিফ ইকবাল সনি নিজেই হয়েছেন পরিছন্নকর্মী।
রোববার দুপুর ১২টায় ধুনট উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পুকুর এলাকায় তারা আবর্জনা পরিস্কার করতে অভিযান চালান। এসময় তাঁরা নিজেরাই কাস্তে হাতে আগাছা কেটে পরিস্কার করেন।
ধুনট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা ও উপজেলা পরিষদ পুকুর ঘিরে জনসাধারণের অবসর সময় কাটানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকা বাউন্ডারী ওয়ালদ্বারা সংরক্ষিত করা হয়েছে। তৈরী হচ্ছে বঙ্গবন্ধু’র মুর্যাল। এছাড়া সেখানে একটি স্থায়ী মঞ্চ, জনসাধারণের বসার জন্য স্থায়ী ব্রেঞ্চ তৈরী, শিশুদের খেলনা সামগ্রী স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
অবসর সময়ে পুকুরের চারপাশ ঘিরে হাটার জন্য পায়ে হাটার পথ তৈরী, ফুলের বাগানসহ পুরো এলাকা দৃষ্টিনন্দন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত পুকুরের পাশে কয়েকটি অবৈধ দোকান ঘর ছিলো। এছাড়া পুকুরের পাশ দিয়ে আগাছা ও ময়লা আবর্জনা জমে ছিলো।
রবিবার দুপুরে পুকুর এলাকা দৃষ্টিনন্দন করার অংশ হিসেবে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ এবং আগাছা ও আবর্জনা পরিস্কারের অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত এবং ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আসিফ ইকবাল সনি নিজেরা কাস্তে হাতে নেন। তাঁরা নিজেরাই আগাছা কেটে পরিস্কার অভিযান শুরু করেন। অভিযানের শেষ পর্যন্ত তাঁরা পুকুরের পূর্ব পাশের আগাছাগুলো কেটে ফেলেন।
এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাহাদুর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি সাইফুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা প্রভাষক সিরাজুল হক লিটন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম রনিসহ প্রায় ১৫/ ২০জন নেতাকর্মী স্বেচ্ছাসেবামুলক এ কাজে অংশ নেন।
দৈনিক বগুড়া