বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়া ও শেখেরকোলা ইউনিয়ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ছয়টি মেশিন জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ওই এলাকায় এক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মেশিনগুলো জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম বীর আমির হামজা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সভায় বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ঠেকাতে মঙ্গলবার একটি অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের কাঠালতলা ঈদগাহ মাঠ ও এর পাশের এলাকা শেখেরকোলার বালাকৈগাড়ীতে যান নির্বাহী হাকিম।
ঘটনাস্থল কাঁঠালতলা ঈদগাহ মাঠের পাশের জলাশয় থেকে ছয়টি বালু তোলার শ্যালো মেশিন জব্দ করা হয়। আর পাশের বালাকৈগাড়ী এলাকায় তিনটি মেশিন যান্ত্রিকভাবে নষ্ট করা হয়। তবে এ সময় বালুদস্যুদের কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান আদালত।
অভিযানে স্থানীয়রা এসব মেশিন পুকুর থেকে তুলে আনতে সাহায্য করেন। অভিযানের জন্য তারা খুশি। তারা জানান, স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টিএমএসএস এখান থেকে কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। তাদের এভাবে বালু তোলার কারণে ঈদগাহ মাঠসহ অনেক আবাদী জমিও বিলীন হয়ে গেছে। এখন ঈদগাহ সংলগ্ন ব্রিজও হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এই জমিগুলো রক্ষার জন্য সম্প্রতি বগুড়ার সাতমাথায় এলাকাবাসীর ব্যানারে একটি মানববন্ধনও করা হয়। মঙ্গলবার অভিযানের পর ওই এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ও আলতাব আলী বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস এই এলাকা থেকে বালু তুলে আবাদী জমিসহ বহু জমি বিলীন করে দিয়েছে। এখন আমাদের মাঠ, যাতায়াতে নির্মিত ব্রিজ ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এরা ভূমিদস্যু।
নির্বাহী হাকিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বীর আমির হামজা বলেন, দুপুর ২ টার দিকে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ছয়টি মেশিন জব্দ এবং তিনটি নষ্ট করা হয়েছে। বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস এখানে বালু উত্তোলন করে।
দৈনিক বগুড়া