বগুড়ার শেরপুরে করোনা ভাইরাসের বিস্তারে সহায়ক কাজ যেমন মাস্ক পরিধান না করা এবং সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে বিকাল ৪ টার পর দোকান খোলা রাখায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিয়াকত আলী সেখ ও সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলাম রানা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, (১৮ জুন) বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০ টা পর্যন্ত উপজেলার শেরুয়া বটতলা, ব্রাক বটতলা, আন্দিকুমড়া, হামছায়াপুর, খন্দকারটোলা, সাধুবাড়ী, মির্জাপুর বাজার ও ছোনকা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিয়াকত আলী সেখ।
বগুড়ার শেরপুরে করোনার বিস্তার রোধে মোবাইল কোর্টে ৭ জনকে জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন (ডানে) উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিয়াকত আলী সেখ (বামে) সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলাম রানা।
অন্যদিকে, সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলাম রানা উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন । ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, মাস্ক পরিধান না করায় ও বিকাল ৪ টার পর দোকান খোলা রেখে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করায় ৭ জনকে ২৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকত আলী সেখ এবং সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদ আলাম রানা জানান, এর আগে কয়েকবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়। এ নিয়ে উপজেলায় মাইকিংও করা হয়েছে। তারপরও যারা উক্ত নির্দেশনা অমান্য করে বাইরে বের হয়েছেন তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ২৫ এর ১ (খ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।
দৈনিক বগুড়া