বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার থেকে পর্যায়ক্রমে মোট ৩৫ সেন্টিমিটার কমলেও বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে গত ২৪ ঘন্টার হিসেব অনুযায়ী এ নদীর পানি আরও কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে।
রোববার (০৫ জুলাই) সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৗশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান।
জানা যায়, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর, রহদহ ও সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো এবং পাট, ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অসংখ্য মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। রোববার (০৫ জুলাই) সন্ধা ৬টার হিসেব অনুযায়ী নদীর পানি ১৭.০২ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি বৃদ্ধি কমেছে।
তিনি জানান, বাঙ্গালী নদীতে বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। বর্তমানে এই নদীতে ১৫ দশমিক ১২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর পানি গত কয়েকদিনে বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে শনিবার (০৪ জুলাই) সন্ধা ৬টার হিসেব অনুযায়ী যমুনা নদীর পানির স্তর ছিলো ১৭ দশমিক ১৭ মিটার।
দৈনিক বগুড়া
