দ্বিতীয় ধাপে বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ১১টি কেন্দ্রে মোট ৮২টি কক্ষে একযোগে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
ভোটারদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও উৎসব-উদ্দীপনারও কমতি নেই তাদের। তাই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করেই ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছেন। কিন্তু তুলনামূলক ভোটার উপস্থিতি কম। তবে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতিও বাড়ছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সাত্তার প্রতীক (নৌকা), বিএনপির দলীয় মনোনিত প্রার্থী স্বাধীন কুমার কুণ্ডু প্রতীক (ধানের শীষ), বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জানে আলম খোকা প্রতীক (জগ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ইমরান কামাল প্রতীক (হাতপাখা)। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট ৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করছেন।
পৌর শহরের টাউন কলোনি এজে উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সকালের দিকে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা সাড়ে ৯টার পর ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। তাই কেন্দ্রের মধ্যে ভোটগ্রহণের কক্ষের বাইরে নারী-পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। তারা একজনের পর আরেকজন কক্ষে ঢুকে নিজের পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কেএম ওবায়দুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত তার কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া সব প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর এজেন্টই বুথে আছেন। তাদের নিকট থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোছা. আছিয়া খাতুন জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ২টি টিমসহ পুলিশ ও আনসারের একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া অতি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রায় দেড়শ বছরের প্রাচীন এই শেরপুর পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৪১৫ জন এবং ১২ হাজার ৩৩৯ জন নারী ভোটার রয়েছে।
দৈনিক বগুড়া