বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় সরকারি অফিসের সীল জাল করে প্রতারণা, গ্রেফতার ১

বগুড়ায় সরকারি অফিসের সীল জাল করে প্রতারণা, গ্রেফতার ১

বগুড়ার আদমদীঘিতে জেলা প্রশাসক, সহকারি জজ, ইউএনও, সহকারি কমিশনার ভুমি, তহসিলদার ও সোনালী ব্যাংকের সীল জাল করে প্রতারনার অভিযোগে আন্তঃজেলা জালিয়াতি চক্রের সদস্য এচাহাক আলী খন্দকারকে (৭৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল সিল ও নকল কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।  এছাড়া  এ কাজ করে দেয়ার অপরাধে আমিনুর রহমান (৩৫) নামের একজনকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও রহমান সিলঘর সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গ্রেফতারকৃত এচাহাক আলী খন্দকার উপজেলার শিয়ালশন গ্রামের আহম্মদ আলী খন্দকারের ছেলে ও কারাদন্ডপ্রাপ্ত আমিনুর রহমান সুদিন গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুবা হকের নেতৃত্বে আদমদীঘির শিয়ালশন গ্রামে এক অভিযান চ

চালানো হয়। এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানায় এচাহাক আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির বাদি হয়েছেন ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তা রায়হানা জান্নাত শিখা।

আদমদীঘির সহকারি কমিশনার ভুমি মাহবুবা হক জানান, আদমদীঘির সুদিন গ্রামের আমিনুর রহমান নামের এক ব্যক্তি জমির দাখিলা রশিদ উপজেলা ভুমি অফিসে দাখিল করেন। ওই দাখিলা যাচাই বাচাই করার জন্য একজন ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে দাখিলাটির সিল স্বাক্ষরসহ যাবতীয় কাগজপত্রদি নকল বলে প্রমানিত হয়। এরপর ব্যাপক অনুসন্ধান করে জানাযায়, আদমদীঘি শিয়ালশন গ্রামের এচাহাক আলী খন্দকার নামের ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত বগুড়া, নওগাঁ জেলা প্রশাসক, সহকারি জজ, ইউএনও, সহকারি কমিশনার ভুমি, সাব-রেজিষ্টার, তহসিলদার, কানোনগো, ও সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সিল জাল করে প্রতারনার মাধ্যমে নকল দাখিলা, খতিয়ান, এম.আর.আর, সি.এস, জমির খাজনার রশিদসহ নানা ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে সাধারণ মানুষের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে আসছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সহকারি কমিশনার (ভুমি) মাহবুবা হকের নেতৃত্বে শিয়ালশন গ্রামে এচাহাক আলীর বাসায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের ৩ শতাধিক নকল সিল, খাজনার রশিদসহ বিপুল পরিমান জাল কাগজপত্র জব্দ করেন।

গ্রেফতারকৃত এচাহার আলী খন্দকার জানায়, সে আদমদীঘি সদরের রহমান সিল ঘর, ও বগুড়া থেকে এসব সিল তৈরী করে নিয়েছেন। রহমান সিল ঘরে অভিযানের সময় ওই দোকানের মালিক জয়নুল আবেদিন পালিয়ে যান। তার দোকান ঘর সিলগালা করা হয়েছে।

দৈনিক বগুড়া