বলিউডে স্বজনপোষণ প্রথা নিয়ে বাদানুবাদ অব্যাহত। এরই মধ্যে আগুনে ঘি ঢাললেন অভিনেত্রী সোনম কাপুর।
ইনস্টাগ্রামে সোনমের সোজাসাপ্টা জবাব, হ্যাঁ, আমি আমার বাবার মেয়ে। আজ আমি বাবার জন্যই এখানে। বাবার জন্যই সুবিধা পাই। এটা কোনও অপমান নয়। আমার বাবা দিন-রাত এক করে খেটেছে।
এখানেই শেষ নয়। সোনম আরও যোগ করেন, এ আমার কর্মফল যে এই রকম একটি পরিবারে আমি জন্মেছি। আমি সে জন্য গর্বিত।
গত ১৪ জুন সুশান্তের আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে স্টার কিডদের অনায়াসে কাজ মেলার ঘটনায় সরব হয়েছেন নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় উগরে দিচ্ছেন ক্ষোভ। শুধু তাই নয়, স্টার কিডদের কমেন্ট বক্সেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সেই রাগেরই প্রতিফলন।
সোনম নিজেও একজন স্টার কিড। তিনি অনিল কাপুরের কন্যা। তাই সেই ক্ষোভের আগুন থেকে মুক্তি মেলেনি তারও। ক্রমাগত কমেন্ট বক্সে পরিবার-বাবা-মা’কে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ উড়ে আসায় দিন কয়েক আগেই নিজের ইনস্টাগ্রাম কমেন্ট বক্স বন্ধ করেছেন তিনি।
যদিও এতেই হাল ছাড়েননি নেটাগরিকরা। সোনমের কমেন্ট বক্স বন্ধ দেখে তাকে ব্যক্তিগত ভাবে মেসেজ করে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেছেন বেশ কয়েকজন। যেখানে সোনমের মৃত্যুকামনা থেকে শুরু করে তার ভাবী সন্তানেরও মৃত্যুকামনা করা হয়েছে।
সেই সব মেসেজরই বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে রোববার সোনম লেখেন, হ্যাঁ, আমি আমার এবং বাবা-মায়ের কমেন্ট সেকশন বন্ধ করেছি,কারণ আমি চাই না আমার ৬৪ বছরের বাবা এই সব খারাপ কথা শুনুক। তাদের এগুলো প্রাপ্য নয়। আমার ভাবী সন্তানের মৃত্যু কামনা করছে মানুষ, আমায় গালাগালি দিচ্ছে অকথ্য ভাষায়, আজ আমরা এখানে আমাদের কর্মের জন্য। যারা ঘৃণা ছড়াচ্ছ তারা আজ সে জায়গায় তাদের নিজেদের কর্মের জন্য। এ সব করে তোমরা শুধুমাত্র নিজেদের জীবন নষ্ট করছ।
সুশান্তের মৃত্যুর পরেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায় পরিচালক করণ জোহরের টক শো ‘কফি উইথ করণ’তে সোনমকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় সুশান্ত সিংহ রাজপুত কি হট?
তখন সোনম খানিক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলেন, জানি না , হটই হবে। অর্থাৎ, তিনি যে সুশান্তকে চেনেন না সে কথাই পরোক্ষে বলেছিলেন সোনম।
সুশান্তের আত্মহত্যায় যখন ‘বহিরাগত তত্ত্ব’ বারেবারেই উঠে আসছিল, তখন একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেও সুশান্তকে না চেনার প্রসঙ্গে সোনমকে একহাত নেন নেটাগরিকরা।
সেই প্রসঙ্গে সোনম লেখেন, সাত বছরের পুরোনো একটি ভিডিও ওটা। সুশান্তের তখন একটি মাত্র ছবি মুক্তি পেয়েছিল। হ্যাঁ, সে সময়ে তাকে আমি চিনতাম না। এরকম অনেক এপিসোড রয়েছে যেখানে আমার সহকর্মীরাও আমার সম্পর্কে একটি বাক্যও বলেননি। আমি স্পিরিট হিসেবে নিয়েছি সব সময়। এত ঘৃণা! ইশ্বর যেন আপনাদের ক্ষমা করেন।
দৈনিক বগুড়া