আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে না বলেই তারা কার্ফু দেয়ার মতো কথা বলে।
তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) বক্তব্য শুনে মনে হয় তাদের চিন্তাধারা একপেশে। তারা বাংলাদেশের কোটি কোটি খেটে খাওয়া মানুষের কথা মোটেও চিন্তা করে না। কোটি কোটি মানুষের প্রাত্যহিক আয়ের উপরে তাদের জীবন ও সংসার চলে সেই কথাটা বিএনপির নেতারা
মোটেই চিন্তা করে না। সেজন্য তারা সবকিছু বন্ধ করে দেয়ার মতো কথা বলতে পারে। এমনকি তারা কার্ফু দেয়ার মতো কথা বলে।
শনিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মনে রাখতে হবে- আমাদের দেশ খেটে খাওয়া মানুষের দেশ। এখানে কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন উপার্জনের উপর নির্ভর করে। এই কথাটা মনে রাখতে হবে। সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু বিএনপি দেশের জনগণের কথা ভাবে না বলেই তারা এসব কথা বলে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পৃথিবীতে দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
মানুষের জীবনে ও স্বার্থ রক্ষার জন্য যেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এজন্য বাংলাদেশে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো যেন সমস্যায় অনাহারে না থাকেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ত্রাণ কার্যক্রম ও সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তা বাস্তবায়ন করে চলছেন। দু’মাস বন্ধ থাকার পরেও আল্লাহ রহমতে দেশের কোনো মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।
বিএনপি নেতারা প্রতিদিন বিভিন্ন উল্টা-পাল্টা কথা বলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামরা প্রতিদিন বিভিন্ন কথা বলছে, আমি (হাছান মাহমুদ) তাদেরকে বিশ্ব স্ট্যাটিসটিকসটা দেখার জন্য বলছি। বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশের একটু বেশি। যেখানে ভারতে মৃত্যুর হার ৩ শতাংশ, পাকিস্তানে মৃত্যুর হার ২. ১৩ শতাংশ আর বেলজিয়ামে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার ১৬.২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর হার ১৪.০৬ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬ শতাংশ। তাদের চেয়ে বাংলাদেশের মৃত্যুর হার অনেক কম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করতেন তাহলে মৃত্যুর হার অন্তত ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি হতো।
‘বিএনপিকে স্ট্যাটিসটিকসগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই। সরকারের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই দেশে এখনো করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ভারত,পাকিস্তানও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে কম।’
দৈনিক বগুড়া