মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২ বৈশাখ ১৪৩১

মধুমাসে বগুড়ার নন্দীগ্রামে রসালো ফলের সমাহার

মধুমাসে বগুড়ার নন্দীগ্রামে রসালো ফলের সমাহার

ঋতু চক্রের পালাবদলে প্রকৃতিতে চলছে এখন গ্রীষ্মকাল। প্রখর তাপ প্রবাহের দাপট দেখিয়ে বিদায় নিয়েছে বৈশাখ। শুরু হয়েছে মধুমাস হিসেবে খ্যাত জৈষ্ঠ্য। এখন মাঝে মাঝেই দেখা মিলছে প্রশান্তির বৃষ্টি। 

খরতাপে অতিষ্ঠ তৃষ্ণার্ত মানুষের প্রাণ জুড়াতে বগুড়ার নন্দীগ্রামে বাজারে এখন হরেক রকমের রসালো ফলের সমাহার ঘটেছে। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো বিভিন্ন জাতের আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, আনারস, তরমুজ, বাঙ্গীসহ বাহারি সব দেশী ফল। 

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে এই রসালো ফলগুলো। নানা ফলের মধুরঘ্রাণে ভরে উঠছে বাজারের আশপাশ। আবার হাট-বাজারে ফলের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। মিষ্টি এই মৌসুমী ফলগুলো নতুন বাজারে আসায় সব ধরণের ক্রেতারাই কম বেশি কেনার চেষ্টা করছে। 

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিলে আম ও লিচুর দোকানে। তবে খুব কম পরিমাণেই বাজারে উঠেছে বাঙালির জাতীয় ফল কাঁঠাল। যদিও ফলের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন এখনও বাজারে ফলের প্রাচুর্যতা তেমন বাড়েনি। তাই দাম একটু বেশি। 

বাজারে দেখা গেছে, প্রতি ১০০ পিস লিচু বিক্র হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩৫০টাকায়, বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ১০০ টাকায়। জাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় ও প্রতিটি কাঁঠাল আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।

কলেজ পাড়ার বাসিন্দা ফল ক্রেতা নিতিশ গাঙ্গুলী বলেন, ছেলে-মেয়েরা মিষ্টি জাতীয় ফল খেতে পছন্দ করে। ভরা মৌসুমেও ফলের বাজার খুব বেশি মনে হচ্ছে। আমি ৫ কেজি আম ৮০ টাকা কেজি দরে ও ১০০ শো লিচু ২৮০ টাকায় কিনেছি।

নন্দীগ্রাম হাটের ফল ক্রেতা রাসেল আহম্মেদ জানান, এ মাসে মিষ্টি জাতীয় ফল আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচুসহ বিভিন্ন ধরণের ফল বাজারে এসেছে। মানুষ তার সাধ্যমতো এ সকল ফলগুলো ক্রয়ও করছে। আমিও কিছু ফল কিনেছি।   

ফল ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেন বলেন, এখনও বাজারে ভালো আম ও লিচু আসেনি। বিশেষ করে চায়না থ্রি লিচু ও আম্রপালি খুব বেশি পাওয়া যাচ্ছেনা। ফল যখন বাজারে বেশি বেশি আসবে তখন এমনিতেই দাম কমে যাবে। আগের তুলোনায় বাজার এখন কিছুটা কমেছে।

ফল ব্যবসায়ী তোতা মিয়া জানান, আমরা ফলগুলো কিনে এনে বিক্রি করি। তাই বেশি দামে কিনতে হলে আবার বেশি দামেই বিক্রয় করতে হয়। আম ৬০-১০০ টাকা ও লিচু ১০০ পিচ ২৪০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল বলেন, যেকোন ফল মানবদেহের জন্য উপকারী। বিশেষ করে এই মৌসুমী ফলগুলোতে ভিটামিন ও মিনারেলসহ নানা পুষ্টি উপদানে ভরপুর। তাই সবারই পরিমিত পরিমানে এ ফলগুলো খাওয়া দরকার। 

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই