টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ল স্টয়নিস-স্যামস জুটি। ডেনেডুনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯২ রানের জুটি গড়েন এ দুই অজি তারকা।
তাদের এ জুটিই এখন সপ্তম উইকেটে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসসেরা জুটি।
এর আগে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওভালে ইংল্যান্ডের পল কলিংউড আর মাইকেল ইয়ার্ডি ৯১ রানের জুটি গড়েছিলেন।
মাত্র ১ রান বেশি করে কলিংউড-ইয়ার্ডির বিশ্বরেকর্ডকে পেছনে ফেললেন স্টয়নিস আর স্যামস।
তবে এমন বিশ্বরেকর্ড গড়েও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি তারা। নিউজিল্যান্ডের কাছে মাত্র ৪ রানে হেরে গেছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অসি পেসারদের তুলোধোনা করে ২২০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড।
এত বড় স্কোরের কারিগর ছিলেন কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল। ৫০ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৮ ছক্কায় ৯৭ রানের টর্নেডোময় এক ইনিংস খেলেন তিনি।
জাম্পার স্পিনে বোল্ড হওয়ার আগে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩৫ বলে করেন ৫৩। শেষ দিকে নেমে অলরাউন্ডার জিমি নিশামের ৪৫ রানের (নটআউট) ইনিংস এ বিশাল সংগ্রহ এনে দেয় কিউইদের।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্তভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। ১২ ওভার খেলার পর জয় পেতে ৪৮ বলে ১১৩ রানের প্রয়োজন পড়ে অস্ট্রেলিয়ার।
টার্গেট বড় হলেও ক্রিজে জন ফিলিপস ও মার্কাস স্টয়নিস যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন, মনে হচ্ছিল ম্যাচটি জিতেই যাবে অস্ট্রেলিয়া।
কিন্তু এক ওভারেই সব ওলটপালট হয়ে যায়। ১৩তম ওভারে ৬ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারায় তারা।
কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার দুর্দান্ত ওভারের চাপে পড়ে স্বাগতিকদের।
১৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১১৩ রান। এ সময় দলের হাল ধরেন মার্কাস স্টয়নিস আর ড্যানিয়েল স্যামস।
চার-ছক্কার ঝড় তুলে সপ্তম উইকেটে ৩৭ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন স্টয়নিস-স্যামস। তাদের এ জুটি ফের জয়ের আশা জাগায় স্বাগতিকদের।
ম্যাচভাগ্য গড়ায় শেষ ওভারে। আর সেই ওভারে কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশামের নৈপূণ্য হাসি ছিনিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়ার।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১৫ রান। ক্রিজে সেট ব্যাটসম্যান স্যামস-স্টয়নিস। বলতে গেলে ৬ বলে ১৫ রান অসাধ্য ছিল না মোটেই অস্ট্রেলিয়ার জন্য। কিন্তু নিশাম তা আর হতে দেননি।
প্রথম বলেই স্যামসকে আউট করে দিলে ৯২ রানে ইতিহাস গড়া জুটিটি ভাঙে। ১৫ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন স্যামস।
পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান স্টয়নিসও। ৩৭ বলে থেমে যায় স্টয়নিসের ৭৮ রানের ইনিংস।
ফলে ৮ উইকেটে ২১৫ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়াও।
দৈনিক বগুড়া