মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শুরুতেই উইন্ডিজ শিবিরে মুস্তাফিজের জোড়া আঘাত

শুরুতেই উইন্ডিজ শিবিরে মুস্তাফিজের জোড়া আঘাত

তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৯৭ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা। আঘাত হেনেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান।

উইন্ডিজের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন জর্ন ওটলি ও সুনীল আমব্রিস। মুস্তাফিজের বলে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হয়ে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওটলি। প্রতিরোধের সম্ভাবনা জাগালেও অপর ওপেনার আমব্রিস ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্য ফিজ তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন।

এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। ফলে রান তাড়া করে প্রথম দুই ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ এ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামে। 

বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে আলঝারি জোসেফের বলে লেগ বিফোরের শিকার হন লিটন। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত এ ম্যাচেও ব্যাট হাতে বেশি কিছু করতে পারেননি। ৩০ বলে ২০ রান করে কাইল মেয়ার্সের কাছে পরাস্ত হন এ ব্যাটসম্যান।

৭০ বলে ফিফটি পূরণ করেন তামিম। ৮০ বলে ৬৪ রান করে জোসেফের শিকারে পরিণত হন টাইগার অধিনায়ক। এরপর দেখেশুনে খেলে অর্ধশতক পুরণ করেন সাকিব আল হাসান। ৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন টাইগার অলরাউন্ডার। দীর্ঘ ৫৭১ দিন আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ফিফটির দেখা পাওয়া সাকিব ফেরেন ৫১ করে।

প্রথম দুজন ধীরগতিতে ফিফটি করলেও মুশফিকুর রহিন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৫ বলে ৬৪ রান করেন মুশফিক। শেষ ওভারে ফিফটি করা রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আলঝারি জোসেফ ও রেইমন রেইফার দুটি করে উইকেট শিকার করেন। 

এই ম্যাচ জিতলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশের গৌরব অর্জন করবে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সব মিলিয়ে পাঁচটি সিরিজ জিতলেও, টাইগাররা তাদের হোয়াইটওয়াশ করতে পেরেছে শুধু ২০০৯ সালের সফরে।

সেবারও তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রায় এক যুগ পর এবার তামিমদের সামনে একই সাফল্যের হাতছানি।

দৈনিক বগুড়া