শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে মধ্যরাতে জুয়ার আসর গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ, আটক ৭

শেরপুরে মধ্যরাতে জুয়ার আসর গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ, আটক ৭

শেরপুরে মধ্যরাতে হানা দিয়ে জুয়ার আসর গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার  দুপুরের পর গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই সাতজন হলো- উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বনমরিচা গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে আলম সেখ (৩০), একই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে আসমত আলী (৩১), আব্দুল আজিজের ছেলে রেজাউল করিম (২৫), শামছুল হকের ছেলে লাভলু মিয়া (৪৫), আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে জুয়েল রানা (২৭), শাহ আলী প্রামাণিকের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩২) ও ইব্রাহীম খানের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৮)।

মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বনমরিচা গ্রামস্থ আলম সেখের বসতবাড়িতে বেশকিছুদিন ধরে জমজমাট জুয়া খেলা চলছিলো। নিয়মিত চলা এই জুয়ার আসরে এই উপজেলা ছাড়াও আশাপাশের বিভিন্ন  জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন এসে জুয়া খেলতেন। আর জুয়াড়িদের নিরাপত্তাসহ সব ধরণের সযোগ সুধিবা দেওয়ার কথা বলে বাড়ির মালিক আলম সেখ প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশ হাজার করে টাকা নিতেন। এসব টাকায় সব মহলকে ম্যানেজ করা হয়ে থাকে বলে প্রচার করতেন তিনি। তাই জুয়াড়ি আলম সেখ ও তার লোকজনের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছিল না। ফলে এই আসরে জুয়াড়িদের উপস্থিতি দিন দিন বাড়তেই থাকে। আর এই কারণে বনমরিচা গ্রামে সামাজিক অবক্ষয় ও শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী পুলিশের দ্বাড়স্থ হন। যার ফলশ্রুতিতেই পুলিশ ওই জুয়ার আসরটি হানা দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় বলে জানান।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলম সেখের বসতবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেই সঙ্গে আইন শুঙ্খলাবাহিনীর চোঁখ ফাকি দিয়ে বেশকিছুদির ধরে চলা ওই জুয়ার আসর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দিয়ে শনিবার দুপুরের পর বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।

দৈনিক বগুড়া