মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘সকাল-বিকেল মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোই রিজভীর কাজ’...

‘সকাল-বিকেল মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোই রিজভীর কাজ’...

প্রতিদিন সকাল-বিকেল মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর প্রধান কাজ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর পাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাজই হলো প্রতিদিন সকাল-বিকেল সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো। তিনি বরাবরই মিথ্যাচার করে আসছেন। নির্বাচনকে ঘিরে এমন কিছু মিথ্যাচার করছেন, যেগুলো নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করে সরকারি কর্মকর্তাদের একটি বানোয়াট বৈঠকের কথা বলেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস, জনপ্রশাসন সচিব এমনকি নির্বাচন কমিশনের সচিবকেও ওই বিতর্কে জড়িয়েছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তিনি এসব বলেছেন।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর সচিব ইটকলের একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। যে বৈঠকের সংবাদ পত্র-পত্রিকায় বেরিয়েছে, যে বৈঠকের ভিডিও ফুটেজ আছে। একই সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এপিএস তার কার্যালয়েই ছিলেন। জনপ্রশাসন সচিবও একই সময়ে তার অফিসে ছিলেন। নির্বাচন কমিশন সচিব নিজেই এর প্রতিবাদ করেছেন।’

‘রুহুল কবির রিজভী তথা বিএনপির এমন বানোয়াট, আজগুবি মিথ্যাচার করা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিএনপি মূলত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে, মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে প্রথমত তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, দ্বিতীয়ত- ঘোলাটে পরিস্থিতি করতে চায়,’- বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সামনে রীতিমতো সমাবেশ করে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাওয়া হয়েছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নির্বাচনী আচরণবিধিতে প্রতীক বরাদ্দের আগে কেউ ভোট চাইতে পারেন না। অথচ মির্জা ফখরুল, ড. কামাল হোসেনসহ সবাই সুপ্রিম কোটের সামনে সুপ্রিম কোর্ট এবং আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ভোট চাইলেন।’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনী আচরণবিধির কথা বলে, কিন্তু কোন আচরণবিধির বলে দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন? পত্রপত্রিকায় বেড়িয়েছে তারেক রহমানই চূড়ান্ত প্রার্থী ঠিক করে দেবেন। এমনকি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীও তারেক রহমান ঠিক করে দেবেন। এতে বুঝা যাচ্ছে ড. কামাল হোসেনের ওপরে তারেক রহমান। মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আবদুর রবসহ সবার নেতা এখন তারেক রহমান।’

দৈনিক বগুড়া