বগুড়া সোনাতলা উপজেলার দিগদাইর ইউনিয়নের চিল্লিপাড়া গ্রামের আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন এমপি সাহাদারা মান্নান ৷ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার সকালে দলীয় নেতাকর্মিদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর পরিদর্শনে যান তিনি ৷
হঠাৎ এমপিকে পেয়ে অবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন দু পরিবারের সদস্যরা ৷ওই সময়ে গ্রামের শতাধিক নারীপুরুষও উপস্থিত ছিলেন ৷মানবিক এমপি ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় পরিবারের সদস্যদের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনা দেন ৷সে সময়ে এমপিকে চোঁখের জলে ভারাক্রান্ত দেখা গেছে ৷পরে এমপি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নতুন সংসার স্থাপনের জন্য এবং পড়নের শাড়ি লুঙ্গি,থালা বাসন,হাঁড়িপাতিল, কম্বল সহ নগদ দু হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেন পরিবারের সদস্য শ্রী চিত্তরঞ্জন রায়ের হাতে এবং ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য দু বান্ডিল ঢেউটিনও দেবার প্রতিশ্রুতি দেন ৷দিগদাইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী তৈয়ব শামিম বলেন, গতকাল উপজেলার নির্বাহী অফিসারের দেওয়া কম্বল আমি এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি কাবেরী জালাল মিলে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি ৷অপরদিকে আমি পরিষদের পক্ষ হতে দু পরিবারের চার দিনের খাবার ৪০ কেজি চাল,ডাল,লবন,তেল,আটা সহ পরিষদের সকল সদস্য মিলে তাদের হাতে খাদ্য পন্যগুলিও তুলে দেয় ৷ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য সান্তনা রানী প্রতিনিধিকে বলেন ওই আগুনে আমাদের ঘরবাড়ির অবকাঠামো সহ ঘরের টিভি,ফ্রিজ কাঠের আসবপত্র ও ঘরে রাখা নগদ দু লক্ষ টাকা সহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে তাদের এমন কি আমাদের পড়নের কাপড়ও পুরে ছাই হয়েছে ৷তিনি কান্নাবিজরিত কন্ঠে বলেন আজ অন্যের দেওয়া কাঁপড় পড়ে আছি আমরা সহ পরিবারের সদস্যরা ৷ আমরা নিঃস্ব আগুনে আমাদের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়েছে ৷তিনি আহবান জানান সরকার সহ এলাকার বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ তার ৷সে সময় এমপির সঙ্গে ছিলেন আওয়ামিলীগ নেতা রেজাউল করিম, মানিক সরকার,অসিম কুমার নতুন,পিযুষ রায়,নিরাঞ্জন রায় সহ ওই গ্রাম সহ এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ৷পরে মানবাধিকার কর্মি বিকাশ স্বর্নকার,মুনিরুজ্জামান, আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন
দৈনিক বগুড়া