বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাতলায় চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলনঃ ভাল দাম পেয়ে কৃষক খুশি

সোনাতলায় চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলনঃ ভাল দাম পেয়ে কৃষক খুশি

বগুড়ার সোনাতলার চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। অর্থকরী ফসল মরিচের ভাল দাম পেয়ে বেজায় খুশি ওই উপজেলার কৃষকেরা। ওই উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন সহ চরাঞ্চলে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ আহমেদ জানান, বগুড়ার সোনাতলায় এবার ১৩শ‘ ২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। ওই উপজেলার কৃষকেরা তিনটি হাইব্রিড জাতের মধ্যে সনিক, ১৭০১ ও বিজলী প্লাস এবং স্থানীয় উন্নত জাতের মরিচের ব্যাপক করেছে। এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে।

মরিচের বীজ বপনের ৩০-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ৬০-৭০ দিনের মধ্যে কৃষক গাছ থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু করে। এটি একটি অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে রাক্ষুসী যমুনা ও বাঙালী নদী। তাই বন্যার পর চরাঞ্চলে এবং অন্য জমিতে পলি জমায় প্রতিবছর সেগুলো জমিতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়। প্রতিবিঘা জমিতে ১২/১৫ মন মরিচ উৎপন্ন হয়। প্রতিমন কাচা মরিচ হাটে বাজারে ২ হাজার টাকা থেকে ২২শ টাকায় বিক্রয় করতে দেখা গেছে। আবার টোপা ও সুট মচির আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৮শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল সোমবার বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ও করমজা হাট সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক তাদের উৎপাদিত কাঁচা মরিচ ও শুকনা মরিচ বাজারজাত করণ করছে। সোনাতলায় উৎপন্ন মরিচ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেচা বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবার কৃষক ভালো দাম পেয়ে নগদ অর্থ ঘরে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। এছাড়াও চরাঞ্চলের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত অর্থকরী ফসল মরিচ চরাঞ্চলে খোলা আকাশের নিচে টোপা মরিচ শুট মরিচে রুপান্তর করার জন্য শুকাতে দেখা গেছে। আর এ কাজে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি মহিলা শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে জন্তিয়ারপাড়া এলাকায় আব্দুর রহমান জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। প্রতিবছর তিনি ওই পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেন। মরিচ চাষে লাভ ভাল হয়। এমনকি সারাবছর খাওয়া চলে।

চর সরলিয়া এলাকার কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, এবার তিনি ৮ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। এতে তিনি মোটা অংকের টাকা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। খাটিয়ামারী এলাকার তুহিন মিয়া জানান, এবার তিনি ১২ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ বপন করেছেন। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। ইতিমধ্যেই তিনি প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা মরিচ বিক্রি করেছেন।

দৈনিক বগুড়া