শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৌন্দর্য্য বর্ধনে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেলি ফুলের উপকারিতা

সৌন্দর্য্য বর্ধনে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেলি ফুলের উপকারিতা

বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফুল হচ্ছে বেলি ফুল। এটি প্রায় সবার পরিচিত একটি ফুল। বেলি হচ্ছে জেসমিন গণের গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। বেলি গাছ ঝোপাল, ছোট, প্রায় এক মিটার উঁচু। কচি ডাল রোমশ। পাতা একক, ডিম্বাকর , ৪-৮ সেমি লম্বা গাঢ় সবুজ। গ্রীস্ম ও বর্ষায় ফুল ফোটে কয়েকটি একটি থোকায়।

ফুলের আকার ও গড়ন অনুসারে কয়েকটি প্রকারভেদ আছে। কলম ও শিকড় থেকে গজান চারায় চাষ। শীতে ছেঁটে দিতে হয়। টবেও এটি ভালো জন্মে থাকে।

বেলিকে অনেকে মনে করেন বনমল্লিকা শব্দ থেকে উদ্ভত। বেলি গাছ দেখতে কদর্য অধিকাংশ সময় পাতা থাকে না, আর কিছু পাতা থাকলেও তাতে শ্রী থাকে না।

বেলি ফুল দু্রকমের হয়। একসারি বা একটিয়া বেলির পাপড়ি হালকা কিন্তু মোতিয়া বেলির দল অনেক বেশি, দেখতে গোলাকার সাদা মোতিসদৃশ।

ব্যবহারঃ

বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের বাগানে চাষ করা হয়। স্বল্প জায়গায় লাগানো যায়, সুগন্ধি আছে। অলংকার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

উন্নত গুণমানের ক্ষেত্রে বেলি ফুল তেলের জন্য একটি ভাল উৎস এবং এটি আজও সুগন্ধি শিল্পের উদ্দেশ্যে চাষ করা হচ্ছে।

উপকারিতাঃ

সর্দি ভালো হয়ঃ

বেলির মূল এবং কচি পাতা থেঁতো করে সিদ্ধ করে সেবন করলে বুকে সর্দি বসলে ভালো হয়ে যায়।

কৃমিঃ

প্রথমে বেলি ফুল চূর্ণ করে গরম পানির সাথে সেবন করলে কৃমি ভালো হয়।

শ্বাসকষ্ট রোধেঃ

বেলির মূল সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সেবন করলে শ্বাসকষ্টে উপকার পাওয়া যায়।

বমি ভাব দূর করতেঃ

বেলির মূল থেতো করে এই রস আতপ চাল ধোয়া পানি ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়।

ক্ষত সারাতেঃ

বেলি পাতা বেটে ক্ষতের উপর প্রলেপ দিলে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়।

ঘুমের সমস্যা হলেঃ

যাদের রাতে ঘুম হয় না তারা বেলির পাতা বেটে পানিতে গুলিয়ে সেবন করুন ঘুম ভালো হবে।

দৈনিক বগুড়া