শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামী ছাড়া মা হলেন শবনম ফারিয়া, ক্ষোভ উগ্রে দিলেন অভিনেত্রী

স্বামী ছাড়া মা হলেন শবনম ফারিয়া, ক্ষোভ উগ্রে দিলেন অভিনেত্রী

মিডিয়া পাড়ার বেশ আলোচিত ও জনপ্রিয় মুখ শবনম ফারিয়া। শোবিজে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেলিং দিয়ে। এরপর থেকে তাকে দেখা যায় ছোট পর্দায়। সেখানে তিনি কাজ করছেন দাপিয়ে। এছাড়াও বড় পর্দাতে অভিষেক হয়েছে তার।

দুই পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর দুজনের মাঝে গড়ে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটি বদল করেন তারা। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ফারিয়া-অপু।

দুই বছর না পেরুতেই ফারিয়া-অপুর সংসারে ভাঙনের সুর বেজে ওঠে। সর্বশেষ গত বছরের ২৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তাদের।

এতো গেলো পুরনো খবর। কিন্তু নতুন খবর হলো সম্প্রতি অভিনেত্রীকে নিয়ে ‘এবার স্বামী ছাড়া মা হওয়ার ঘোষণা- শবনম ফারিয়ার’ শিরোনামের সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। যাতে বেশ ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী।

আসল ঘটনা নাট্যনির্মাতা সাজ্জাদ সুমনের ‘গর্ভধারিণী’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন শবনম ফারিয়া। নাটকের গল্পে দেখা গিয়েছিলো, রাজীব-মিতুর সংসার ভালোই চলছিল। হঠাৎ এক অ্যাকসিডেন্টে রাজীবের বাঁ পা প্যারালাইজড হয়ে যায়। এ সময় তাদের অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। বেশ আগে কবীর নামে এক ব্যক্তি মিতুকে সারোগেট পদ্ধতিতে সন্তান নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এই দুঃসময়ে কবীরের কথা মনে পড়ে তাদের। এরপর কবীরের প্রস্তাবে রাজি হয়। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে এভাবে এগিয়ে যায় এই নাটকের গল্প। 

এখানে মিতু চরিত্রে অভিনয় করেছিলো শবনম ফারিয়া আর রাজীব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ইরফান সাজ্জাদ। নাটকটির ২০২০ সালের ঈদের পঞ্চমদিন দীপ্ত টিভিতে সম্প্রচারিত হয়েছিলো। তবে ‘গর্ভধারিণী’তে শবনম ফারিয়ার চরিত্রটি খুব চ্যালেঞ্জিং ছিলো।

এতদিন পরে সেই নাটকের কাহিনী ধরে আবারো সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আর শিরোনামে অভিনেত্রীকে অনেকটা হেয় করেই করা হয়েছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগ্রে দিলেন শবনম ফারিয়া। অভিনেত্রী ফেসবুকে লিখেন- আচ্ছা, নিউজ কি কেউ পড়ে নাকি শুধু শিরোনাম দেখেই নিচে অযথা একটা বাজে কমেন্ট দিয়ে আসে? এসব কবে শেষ হবে। এতো করোনা, এতো সমস্যা দেশে , কিন্তু এসব অদ্ভুত নিউজ করা সাংবাদিক এবং পোর্টাল গুলোর হেদায়েত কবে হবে জানি না।

এরপরেই তার কমেন্ট বক্স নেতিবাচক কমেন্টে ভরে যায়। ভক্তরা এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশকে ঘৃণা চোখেই দেখছেন। অন্তত তাদের কমেন্ট দেখে এমনটাই বোঝা যায়। 

দৈনিক বগুড়া