শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২১ দিনে ১০ কেজি ওজন কমাবেন যেভাবে

২১ দিনে ১০ কেজি ওজন কমাবেন যেভাবে

অতিরিক্ত ওজন দিন দিন আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কারণ এর ফলে দেহে মারাত্মক সব রোগ বাসা বাঁধছে। যদিও অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ওজন কমাতে নানা রকম পদ্ধতি অবলম্বন করছেন, তবে সঠিক ডায়েট না মানার কারণে তা হিতে বিপরীত হয়ে যাচ্ছে।

তবে এই বাড়তি ওজন কমানোর একটি সহজ পন্থা হচ্ছে কিটো ডায়েট। এই ডায়েটের কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই? কারণ বর্তমান সময়ে সব থেকে আলোচিত ডায়েট এই কিটো। কিটো ডায়েটে ২১ দিনে ১০ কেজি পর্যন্ত কমানো সম্ভব! তবে কিটো ডায়েট করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক কিটো ডায়েট কীভাবে করবেন-

কিটো ডায়েটে যা করতে হবে

চাল, আটা, চিনি, আলু, দুধ ও সয়াবিন তেলের তৈরি যেকোনো খাবার তিন থেকে চার সপ্তাহ খাওয়া যাবে না। যেমন ভাত, রুটি, পাউরুটি, মিষ্টি, ফাস্টফুড, বাইরের ভাজা-পোড়া, কোল্ড ড্রিংস ইত্যাদি। যেসব ফল স্বাদে মিষ্টি সেগুলোও সাময়িক সময়ের জন্য বাদ দিতে হবে। মোট কথা দুই থেকে তিন সপ্তাহ শরীরকে সুগার ও শর্করা মুক্ত রাখতে হবে।

যেসব খাবার খেতে পারবেন না

> চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোনো কিছু একদম বাদ। কোক, ফলের জুস, কেক, আইসক্রিম, চকোলেট, স্মুদি, যেকোনো ধরনের মিষ্টি।

> আটার তৈরি কিছু- ভাত, পাস্তা, নুডলস, ওটস, কর্নফ্লেক্স সব বাদ।

> সবধরনের ফল নিষেধ। সাধারণত অন্যান্য ডায়েটে ফলের জায়গাটুকু থাকলেও কিটো ডায়েটে সেটা নেই। কারণ ফলে প্রচুর পরিমাণ শর্করা থাকে। আপনি কিটো ডায়েটে মাত্র ২০ গ্রাম শর্করা গ্রহণ করতে পারবেন। অন্যদিকে একটি বড় আপেল থেকেই ২৫ গ্রাম শর্করা পাবেন।

> সবধরনের ডাল নিষেধ। ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি ভালো পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে।

> আলু, মূলা, গাজর, কচু সব বাদ দিতে হবে।

> যেকোনো ধরনের প্রসেস ফুড একদম বাদ দিতে হবে।

কী কী খেতে পারবেন

গরু, মুরগি, সবধরনের মাছ, ডিম, বাটার, পনির, দই, ঘি, বাদাম, হেলদি অয়েল-যেমন অলিভ ওয়েল, কোকনাট ওয়েল, সূর্যমুখী অয়েল, যেকোনো লাল-সবুজ সবজি, পালং, ব্রকলি, বাধাকপি, ফুলকপি, লাউ, মোটামুটি সবধরনের মসলা। ফলের মধ্যে জলপাই, অ্যাভোকাডো, স্ট্রবেরি, লেবু খেতে পারবেন।

কিটোজেনিক ডায়েটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

> কিটোজেনিক ডায়েট গ্রহণ করলে শুরুর দিকে সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন- পানি ও লবণের ভারসাম্যহীনতা।

> হঠাৎ কিটো ডায়েট শুরু করলে শরীরে পানি ও মিনারেলের ভারসাম্য কমে যেতে পারে। ফলে রক্তচাপের কম বেশি হতে পারে। এতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিংবা লবণ বাদ দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

> অতিরিক্ত ফ্যাট গ্রহণের ফলে কিটো ডায়েটে হজমের সমস্যা হতে পারে। কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। তখন ফাইবার জাতীয় সবজি বেশি করে খেতে হবে। ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টও ওষুধ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

> অনেকের আবার ডায়রিয়াও হতে দেখা যায়। এমন হলে স্যালাইন ও ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ ধরে কিটো ডায়েট চার্ট মেনে চললে ধীরে ধীরে তা শরীরের সঙ্গে মানিয়ে যায় এবং পরে আর কোনো সমস্যা হয় না।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই