বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২৩০ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চে গেলো জিম্বাবুয়ে

২৩০ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চে গেলো জিম্বাবুয়ে

সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসেই বিশাল লিড। জিম্বাবুয়ের সামনে এখন ১৩৯ রানের এই লিডকে হেসে-খেলে শুধু বড় করার মিশন। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে সেই মিশনে বেশ সফল তারা। দুটি উইকেট হারালেও লিডকে তারা নিয়ে গিছে ২৩০ এর ঘরে। আজ সকালে ৯০ রান যোগ করেছে তারা স্কোরবোর্ডে। ২ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান করে, ২৩০ রানের লিড নিয়ে তবেই লাঞ্চ বিরতিতে গেছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে।

এ রিপোর্ট লেখার সময় জিম্বাবুয়ের হয়ে উইকেটে রয়েছেন ৩৯ রানে নিয়ে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। প্রথম ইনিংসে ৫২ রান করেছিলেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের বোলারদের পেয়ে ভালোই ফর্মে রয়েছেন তিনি। ১৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন শন উইলিয়ামস।

প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশ পিছিয়ে ১৩৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে এগিয়ে থাকলো ১৪০ রানে। তবুও দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলামের কণ্ঠে আশার সুর, জিততেও পারে বাংলাদেশ। তবে তার জন্য কয়েকটি শর্ত পালন করতে হবে। সেটা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব, খুব বেশি হলে ১৫০ রানের মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে বেধে রাখতে হবে জিম্বাবুয়েকে। এরপরের দায়িত্ব ব্যাটসম্যানদের।

সফরকারী দলটিকে কম রানে বেধে রাখতে হলে তৃতীয় দিনের শুরুতেই একটা ব্রেক থ্রু এনে দেয়া প্রয়োজন ছিল। সেই ব্রেক থ্রুটাই এনে দিলেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিরিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার ব্রায়ান চারিকে। ১৯ রানে পড়লো প্রথম উইকেট।

জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা এবং ব্রায়ান চারি মিলে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে যান। আজ সকালে সেখান থেকে শুরু করার পর আরও ১৮ রান যোগ করেন তারা। এরই মধ্যে তাইজুল, আবু জায়েদ রাহী, নাজমুল ইসলাম অপুদের ব্যবহার করে ফেলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

মেহেদী হাসান মিরাজকে আনার পর দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য এনে দেন তিনি। অসাধারণ একটি বল করেন তিনি ব্রায়ান চারিকে। ইনিংসের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলটিকে মিরাজ ভাসিয়ে দেন বাতাসে। চারি একটু ফরোয়ার্ড ফুটে এসে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল টার্ন করে গিয়ে লাগে ব্যাটের ভেতরের কানায় এবং ব্যাটকে চুমু দিয়ে গিয়েই স্ট্যাম্পটা ভেঙে দেয় সেই বলটি। বোল্ড হয়ে যান চারি। ৩৩ বল খেলে ৪ রান করেন তিনি।

ব্রায়ান চারি আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন ব্রেন্ডন টেলর। মাঠে নেমেই কিছুটা চড়াও হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। তবে, তাকে বেশিদুর এগুতে দিলেন না তাইজুল ইসলাম। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় তাকেও ফিরিয়ে দিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

প্রথম ইনিংসে তাইজুলের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি উইকেট দিলেন তাইজুলকে। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি খেলতে গিয়েই ক্যাচ তুলে দেন টেলর। পেছনে দিকে অনেকদুর দৌড়ে গিয়ে ক্যাচটা তালুবন্দী করেন ইমরুল কায়েস। ২৫ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান টেলর।

দৈনিক বগুড়া