![উত্তরাঞ্চলে তামাকের বদলে চা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা উত্তরাঞ্চলে তামাকের বদলে চা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা](https://www.dainikbogura.com/media/imgAll/2023August/Screenshot_39-2308301304.jpg)
উত্তরাঞ্চলে তামাকের বদলে চা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। পঞ্চগড় থেকে ৮০০ চা চারা এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। ১৫০ শতক জমিতে রোপন করেছেন এ চারা গাছগুলো। তার সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। তবে প্রতি বছরের খরচ বাদে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা এই চা বাগান থেকে আয় করেন তিনি এখন।
মন্টু বর্মন তামাক চাষ ছেড়েছেন দুই বছর আগে। চা চাষে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয়নি তাকে। অল্প পরিশ্রমেই চা আবাদ করে লাভের মুখ দেখছেন তিনি। ছবি: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
উত্তরাঞ্চলে এক সময় সবচেয়ে বেশি তামাক চাষ হতো রংপুর জেলায়। এখন ক্ষতিকর, বিষাক্ত এই তামাক চাষ ছেড়ে দিয়ে চা চাষসহ নানা বিকল্প ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়ছে রংপুরের চাষীরা। উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ে আগেই চা চাষ হচ্ছে। চা চাষ লাভজনক হওয়ায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় মন্টু বর্মন রায় নামের এক চাষি তামাক চাষ বাদ দিয়ে চা বাগান করে সাফল্য অর্জন করেছেন ।
চা চাষি মন্টু বর্মন জানান, পঞ্চগড় থেকে ৮শ চা চারা এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। ১৫০ শতক জমিতে রোপন করেছেন এ চারা গাছগুলো। তার সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। তবে প্রতি বছরের খরচ বাদে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা এই চা বাগান থেকে আয় করেন তিনি এখন।
তিনি বলেন, অনেকেই চা চাষের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রতিদিনই তার সঙ্গে পরামর্শ করতে আসছেন ওই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার সবজি ও তামাক চাষিরা।
চা বাগানে কর্মরত নারী শ্রমিক শ্রী সাথী রায় জানান, প্রায় দুই বছর ধরে এই চা বাগানে কাজ করে ছেলে মেয়ের লেখাপড়াসহ সংসার ভালোই চলছে তার। আগে তামাকের জমিতে কাজ করে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এখন চা বাগানে কাজ করে কোন সমস্যা নেই তাদের।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ডক্টর মোহাম্মদ সরওয়ারুল হক বলছেন, অল্প পরিশ্রমেই চা চাষ করছেন তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ভাঙ্গা গ্রামের চাষী মন্টু বর্মন। বিষাক্ত তামাক আবাদ ছেড়ে চা চাষ করছেন এটি একটা দারুণ দৃষ্টান্ত
দৈনিক বগুড়া