• শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩০

  • || ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

লাউ চাষে সফলতা, পেঁপেতে আশানুরূপ ফলন

দৈনিক বগুড়া

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

গোলাম রসুল ঢাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন। বয়সের ভারে পরিশ্রম করতে শরীরে আর পারেনা। তাইতো মাটির মায়ায় ফিরে আসেন বাড়িতে। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া যতটুকু জমি আছে, তাতেই চাষাবাদে চলে যাবে বাকী জীবন, এই ভরসায় সে সবজি চাষের পরিকল্পনা মাফিক কাজ শুরু করেন।

গোলাম রসুল একই গ্ৰামের মেসার্স কাজিপুর বীজ ভান্ডারের মালিক রাসেল রানার পরামর্শক্রমে তার ১২ শতক জমিতে এসিআই কোম্পানির মার্সাল সুপার হাইব্রিড লাউ চাষ করেন। গ্ৰীষ্মকালীন সবজি হিসেবে গত মে/ জুন মাসে বীজ রোপণ করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আগষ্ট মাস পর্যন্ত তার ক্ষেত থেকে উৎপাদিত লাউ ৪০ হাজার টাকা এবং ১০ হাজার টাকার লাউ শাক বিক্রি করা হয়েছে। চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা। ২৫ শতক জমিতে পেঁপে চাষ করেছেন, এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন, এবছরে আরো ৫০ হাজার টাকা বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানান তিনি।

গোলাম রসুল একজন আদর্শ ও সফল সবজি চাষি, তিনি আমাদের পরামর্শক্রমে চাষাবাদ করে আসছেন, পরম যত্নে মৌসুমী সকল সবজি চাষ করেন। চার বিঘা জমির মালিক, গোলাম রসুল বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি উৎপাদন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন, তাকে দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক তাকে অনুসরণ করে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে তারাও আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, এখন খুব ভালো আছি, তরিতরকারি আবাদে এতো টাকা আয় হয়, আগে বুঝি নাই। কৃষি অফিস যদি সেচ কীটনাশকসহ বিভিন্ন আধুনিক কৃষি উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করলে, তার জন্য খুবই ভালো হতো জানান তিনি। আর্থিক সচ্ছলতা তার কর্মস্পৃহা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সুধীজন মনে করেন, কৃষিতেই সমৃদ্ধি, উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মৌলিক চাহিদা পূরণে যারা আজ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে সামাজিক ভাবে উৎসাহিত করলে উপকৃত হব সবাই।

দৈনিক বগুড়া
দৈনিক বগুড়া