• রোববার ০১ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৬ ১৪৩০

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

দেশে ফিরেই একের পর এক সফলতা জালাল উদ্দিনের

দৈনিক বগুড়া

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

দীর্ঘ দুই যুগ জালাল উদ্দিন প্রবাসে ছিলেন। জীবনের ২৪টি বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে কাটিয়ে দেন। প্রবাস জীবনে পরিবারের জন্য ভালো কিছু করতে পারেননি। তবে দেশে ফিরে কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে দেখেছেন সফলতার মুখ। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউপির বাসিন্দা জালাল উদ্দিন।

করোনাকালীন সময়ে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। এরপর বিভিন্ন ঝামেলায় প্রবাসে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। তখন তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েন। কোন উপায় না পেয়ে উদ্যোগ নেন কৃষিতে বাকি জীবন অতিবাহিত করবেন। জালাল উদ্দিন বলেন, প্রথমে ধানের জমিতে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রথমে শসা দিয়ে শুধু করি। প্রথমেই সফলতার মুখ দেখেছি। পরে করোলা ও তরমুজ রোপণ করেছেন। একের পর এক সফলতা নিয়ে তিনি এখন প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার ও বেশি আয় হয়। তিনি জানান, শসা চাষের মাধ্যমেই শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে চাষ করেন তরমুজ, করলা, লাউ, কাঁচা মরিচ ও বিদেশি ফল সাম্মামসহ বিভিন্ন জাতের সবজি। সব কিছুতেই সফলতা আসে এই উদ্যোক্তার। প্রায় ১৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন। এখন তার কৃষি খামারে শসা, করলা, লাউ ও কাঁচামরিচের পাশাপাশি প্রায় ৮০০ তরমুজ ও ১২০ পিস সাম্মাম রয়েছে। 

জালাল উদ্দিন বলেন, কৃষিতে শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যদি শিক্ষিত সমাজ কৃষিতে আসে তাহলে কৃষি ব্যবস্থাপনা আরো উন্নতি হবে। এই কৃষিকে পুঁজি করে একজন শিক্ষিত বেকার যুবক মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবে। পূর্বজুড়ী ইউপির উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুরঞ্জিত ধর রনি বলেন, যারা কৃষিকে পেশা হিসেবে নিতে চায় তারা গতানুগতিক পদ্ধতিতে না গিয়ে আধুনিক কৌশল প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। সিজনাল ফসল না করে অগ্রিম চিন্তা করতে হবে। তাহলে লাভ বেশি হবে। তিনি জানান, জমিতে যত ফসল ফলাবেন মাটি তত উর্বর হবে। এজন্য পতিত জায়গাগুলোতে জালাল উদ্দিনের মতো মানুষজন কৃষিতে এগিয়ে আসলে নিজেরাই লাভবান হবেন নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হবেন।

জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. মাহমুদুল আলম খান বলেন, জালাল উদ্দিন যখন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তখন আমরা সিলেট উন্নয়ন প্রকল্টের মাধ্যমে খরা মৌসুমের জন্য তাদেরকে পানির জন্য এলএলপি পাম্প এবং ১০০ মিটার ফিতা পাইপ দেই। এনএটিপি প্রকল্প এর মালচিং শিট প্রদান করি। এ প্রযুক্তিতে সার ও পানির প্রয়োজন হয়না। যার ফলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা লাভবান হয়। তিনি বলেন, আমাদের উপজেলার প্রশিক্ষণগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি কৃষি সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন। জালাল উদ্দিনের মতো প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের কৃষিতে আমরা স্বাগত জানাই। এরকম লোকদের সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হবে।

দৈনিক বগুড়া
দৈনিক বগুড়া