শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

সমতলে কাজুবাদামের পরিক্ষামূলক চাষে মোতাছিমের সাফল্য!

সমতলে কাজুবাদামের পরিক্ষামূলক চাষে মোতাছিমের সাফল্য!

সমতলে পরিক্ষামূলকভাবে কাজুবাদাম চাষে সফলতা পাওয়া গেছে। বগুড়ার কৃষক মোতাছিম বিল্লাহ প্রথমবারের মতো এর চাষে সফলতা পেয়েছেন। তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় চারা লাগানো ১৮ মাস পর ফলন পেয়েছে। বর্তমানে তার বাগানের প্রতিটি গাছেই কাজুবাদাম এসেছে। তবে বানিজ্যিকভাবে এখনো এর বিক্রি শুরু হয়নি।

জানা যায়, কাজুবাদাম একটি পাহাড়ি ফসল। আর আমাদের দেশে কাজুবাদামের চাহিদা পূরণ হতো বিদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে। বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায় বগুড়ায় সমতলে কাজুবাদামের চাষ শুরু হয়েছে। এর চাষ শুরু হলেও এর প্রক্রিয়াজাত করার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তাই এখনো বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। তবে এর চাষাবাদ আরো বাড়লেও প্রক্রিয়াজাত করণে কোনো প্রতিষ্ঠান না থাকায় বিক্রি নিয়ে সংকটের দেখা দিতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, কাজুবাদাম ও কফি চাষ গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বগুড়ার শাহজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলার কয়েকজন কাজুবাদাম চাষ করছেন। অনাবাদি ও পতিত জমিতে কাজুবাদাম চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে মাঠপর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।

কাজুবাদাম চাষি মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, আমার জলাবদ্ধ পতিত জমি মাটি দিয়ে ভরাট করে বাগানটি গড়ে তুলেছি। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়েছি। তারপর তাদের দেওয়া ৮০টি কলম চারা আমার ৫০ শতাংশ জমিতে রোপন করে এর চাষ শুরু করি। এখন অনেকেই আমার বাগানটি দেখতে আসেন। তারমধ্যে অনেকে কাজুবাদামের বাগান করতে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এম-২৩ জাতের কাজুবাদামের ৮০টি চারার মধ্যে ৬০টি চারা টিকে থাকে। গত বছর গাছে মুকুল আসলেও ফল আসেনি। তবে এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে মুকুলের পাশাপাশি গাছে ফল আসতে শুরু করে। বর্তমানে কিছু কাজুবাদাম সংগ্রহও করেছি। বাজারে প্রতিকেজি ৮০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হয়। আগামী বছর এই বাগানে প্রচুর পরিমানে কাজুবাদামের উৎপাদন হবে। তবে তার আগে যদি এর প্রক্রিয়াজাত করার কোনো প্রতিষ্ঠান না হয় তাহলে আমাদের বাদাম বিক্রি করতে সমস্যা হবে।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান বলেন, কাজুবাদাম সাধারনত পাহাড়ি ফসল হিসেবে পরিচিত। তবে আমরা সমতলে এর চাষের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। বর্তমানে এই জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে কিছু গ্রামের কয়েকজন কৃষককে এর চাষের জন্য কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে কয়েকজন সফলও হয়েছেন। এর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে আমাদের আমদানি নির্ভরতা কমবে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: