শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লাকসামে মাল্টা চাষে লাভবান শাহজাহান!

লাকসামে মাল্টা চাষে লাভবান শাহজাহান!

কুমিল্লার লাকসামে মাল্টা চাষে সফলতা পেয়েছেন উদ্যোক্তা শাহাজাহান। তিনি গ্রাজুয়েশন শেষ করে দীর্ঘদিন যাবত বেকার ছিলেন। বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত হলেও আবার বেকার হয়ে পড়েন। তারপর মাল্টা চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে এখন তিনি একজন সফল বাগানি। তার সফলতা দেখে অনেক যুবকরাই পরামর্শ নিতে আসেন।

জানা যায়, শাহাজাহান কুমিল্লার লাকসামের বাসিন্দা। সেখানে ১ একর জমিতে তিনি মাল্টার বাগান গড়ে তোলেন। এর চাষের মাধ্যমে তিনি তার বেকার জীবনের ইতি ঘটিয়েছেন। বর্তমানে তার বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই ঝুলছে রসালো মাল্টা। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই তার বাগানটি দেখতে আসেন। অনেকে ফল কিনে নিয়ে যান এবং আগ্রহী হয়ে এর চাষের পরামর্শও নেন।

উদ্যোক্তা শাহাজাহান বলেন, আমার বাড়ির পাশেই মাল্টা চাষের উপযুক্ত ১ একর উঁচু জমি রয়েছে। আমি সেখানেই গত ৩ বছর আগে বারী-জাতের ২৫০টি মাল্টার চারা রোপণ করি। এতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও আমাকে সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শে ও সঠিক পরিচর্যায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে গাছ দ্রুত বড় হয়েছে এবং তাতে মাল্টা ধরতে শুরু করে। সবুজ রঙের এই মাল্টাগুলো খুব রসালো ও স্বাদে বেশ মিষ্টি। ফলে বাজারে দিন দিন এই জাতের মাল্টার চাহিদাও বাড়ছে। লাকসামে বাণিজ্যিকভাবে আমিই প্রথম এই জাতের মাল্টার চাষ শুরু করি। বাজারের চাহিদা ও সে অনুযায়ী দাম পাওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারছি। আশা করছি আমের সিজনের পরপরই মাল্টা তুলে বিক্রি করতে পারবো।

লাকসাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফুজ্জামান বলেন, বারি জাতের মাল্টা চারা রোপণের ২-৩ বছরের মধ্যেই ফল আসা শুরু করে। এছাড়াও এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। আমরা বাগান করার শুরু থেকেই চাষি শাহজাহানকে পরামর্শ দিয়ে আসছি। তিনি সফলভাবে এর চাষ করতে পেরেছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এর চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমরা অন্যান্য যার মাল্টার বাগান করতে চায় সবাইকে সহযোগিতা করা হবে।

দৈনিক বগুড়া