বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরীক্ষামূলকভাবে চিনা বাদাম চাষে দুলালের সাফল্য!

পরীক্ষামূলকভাবে চিনা বাদাম চাষে দুলালের সাফল্য!

নওগাঁয় পরিক্ষামূলকভাবে চিনা বাদাম চাষে সফল চাষি দুলাল। তিনি তার এক আত্মীয়কে বাদাম চাষ করতে দেখে আগ্রহী হন। তারপর তিনি নিজেই এর চাষে ঝুঁকে পড়েন। বর্তমানে তার জমি চিনা বাদামের গাছে ভরে গেছে। তার জমির ফলন দেখে আশেপাশের অনেক চাষিরা এর চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

জানা যায়, চাষি দুলাল নওগাঁর মহাদেরপুর উপজেলার সদরের বাসিন্দা। তিনি সদরের উপজেলা কমপ্লেক্সের ৩নং গেট রেইন্ট্রিতলার পশ্চিমে আত্রাই নদীর তীরে এক বিঘা জমিতে চিনা বাদামের চাষ করেছেন। চাষের অল্প দিনেই তার জমিজুড়ে বাদামের সবুজ গাছে ছেয়ে গেছে। তার জমিতে এমন সুন্দর বাদাম গাছ দেখে আশেপাশের অনেক কৃষকরা এর চাষে উৎসাহি হয়েছেন। কৃষকরা তার কাছে বীজও চেয়েছেন।

চাষি দুলাল বলেন, আমি মান্দা উপজেলায় আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাই। তাদেরকে বাদাম চাষ করতে দেখে আমরা চাষ করার ইচ্ছা যাগে। তারপর আমি নাটোর থেকে উন্নত জাতের ৮ কেজি বাদামের বীজ সংগ্রহ করি। তারপর আমার জমিতে সেই বীজ থেকে উৎপাদিত চারা রোপন করি।

তিনি আরো বলেন, চারা রোপনের পর ঠিক মতো সেচ, সার ও আগাছা পরিষ্কার করে দেই। খুব অল্প দিনেই গাছগুলো বড় হয়ে পুরো জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। গাছগুলোকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। আমি সারাদিন এই জমিতেই থাকি। গাছ যেন গরু-ছাগল খেয়ে না ফেলে তার জন্য পাহারা দেই। জমির আগাছা পরিষ্কার করে দেই। আশা করছি ফলন ভাল পাবো এবং বাদাম বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোমরেজ আলী বলেণ, এই উপজেলার চাষিরা বাদামের তেমন চাষ করেননা। চাষি দুলাল হোসেন শখ থেকে ও পরিক্ষামূলক এর চাষ করেছেন। তাকে সবধরনে সহযোগীতা করছি। আশা করছি সে ভাল ফলন পাবে। আর তার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরাও বাদামে চাষে আগ্রহী হবেন।

দৈনিক বগুড়া