বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

নখে সাদা দাগ কেন হয়, প্রতিকার ও প্রতিরোধ

নখে সাদা দাগ কেন হয়, প্রতিকার ও প্রতিরোধ

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হল নখ। আলফা-ক্যারোটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি নখের প্রধান কাজ নিচে থাকা নরম ত্বককে সুরক্ষা দেওয়া। প্রায়ই নখে ছোট কিংবা বড় সাদা দাগ দেখা যায়। এই সাদা দাগ পড়ার বিষয়টিকে সবাই কমবেশি স্বাভাবিকভাবেই নেন। এ ছাড়া এই দাগগুলো ধীরে ধীরে নিজ থেকেই চলে যায়।

অনেক সময় কারও কারও নখে দীর্ঘদিন ধরে থাকে সাদা দাগগুলো। এ ছাড়া যদি প্রতিটি নখেই এমন দাগ হয় সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধছে। নখে সাদা দাগ কেনো হয়? নখের এই সাদা দাগকে সাধারণত লিউকোনিচিয়া বলা হয়। অর্থাৎ নখের বিবর্ণতা। শরীরে কোন ভিটামিন, খনিজ বা কোন জরুরি উপাদানের ঘাটতি হলে এই সাদা দাগগুলো নখে দেখা যায়। অথবা নখে কোন আঘাত পেলেও অনেক সময় এরকম দাগ দেখা যায়।

নখে দীর্ঘদিন ধরে এই সাদাদাগ থাকা মানে জটিল কোন রোগ আক্রান্ত হওয়াও বোঝায়।নখের সাদা দাগের কারণ

১. ছত্রাক সংক্রমণ-নখের সাদা দাগের একটি কারণ হল ছত্রাকের সংক্রমণ। হোয়াইট সুপারফিশিয়াল অনাইকোমাইকোসিস নামক একটি ছত্রাকের কারণে হাতে বা পায়ের নখগুলিতে সাদা দাগ দেখা যায়। এ রকম ছত্রাকের কারণে অনেক সময় হাত-পায়ের নখ ফাটা, মোটা হয়ে যাওয়া বা হলুদ বা বাদামি রং ধারণ করে।

২. খনিজের ঘাটতি-নখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং কপারের মতো খনিজ উপাদানের উপর নির্ভর করে। এসব উপাদানের ঘাটতি দেখা দিলে নখের সামগ্রিক গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা প্রভাবিত হয়। তখন নখে সাদা দাগের মত দেখা যায়।

৩. অ্যালার্জির কারণ-নেইলপলিশ, গ্লস, হার্ডেনার বা নেইলপলিশ রিমুভারে অনেকের অ্যালার্জি থাকে। আর এই অ্যালার্জির কারণেই অনেক ক্ষেত্রে নখে সাদা দাগ তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া অনেকে নখ সাজাতে অ্যাক্রিলিক বা জেল প্রয়োগ করে থাকে। এসব রাসায়নিক নখকে খারাপভাবে ক্ষতি করতে পারে এবং সাদা দাগের কারণ হতে পারে।

৪. নখে আঘাত পাওয়া/ ম্যানিকিউর-দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর অভ্যাস আছে অনেকের। এ ছাড়া নখ দিয়ে শক্ত কোন বস্তুতে আঘাত করা, টিনের নখ খোলা এসব কারণেও অনেক সময় নখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ম্যানিকিউর করার সময় সতর্ক না থাকলে বা খুব ঘন ঘন ম্যানিকিউরও নখের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে করে নখে সাদা দাগ দেখা যেতে পারে।

৫. ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া-আর্সেনিক এবং সীসা থেকে ভারী ধাতব বিষক্রিয়ার ফলে নখজুড়ে ‘মিউস লাইন’ নামে সাদা ব্যান্ড তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিক দূষিত খাবার/ পানি পান করলে এ রকম হয়ে থাকে।

৬. নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ-কিছু ওষুধ নখে সাদা দাগ সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সালফোনামাইড। এই ওষুধগুলোয় নখ পাতলা হয়ে ভঙ্গুরতার মতো সমস্যা হতে পারে।

নখের সাদা দাগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ-১. নখের সাদা দাগের প্রতিকার হিসেবে ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত যাতে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। মাছ, ডিম, চর্বিহীন মাংস, বাদাম, সবুজ শাকসবজি, কলিজা ও ফলমূল ইত্যাদি খাবার নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

২. অ্যালার্জির কারণে নখে সাদা দাগ হলে যে পণ্যের কারণে অ্যালার্জি হয়েছে সেই পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে দিন বা এড়িয়ে চলুন। নেইল পলিশ, জেল কিংবা অ্যাক্রিলিক ম্যানিকিউর কিছুদিন বন্ধ রাখুন। ৩. দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানো বা নখ দিয়ে কিছু খোঁচানো, আঁচড়ানো বা ঘন ঘন ম্যানিকিউর করা থেকে বিরত থাকুন। ৪. নখ কাটার সরঞ্জাম ও নেইল কাটার সব সময় জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া যার যার আলাদা আলাদা নেইল কাটার ব্যবহার করা উচিত। ৫. নখ সব সময় পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখুন যাতে ছত্রাকের সংক্রমণ না হয়।

চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন? তবে সব সময় নখের সাদা দাগ সাধারণ মনে করে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। নখের সাদা দাগ নিয়ে আপনার যদি সন্দেহ হয় যে ছত্রাক সংক্রমণের ফলে বিবর্ণতা সৃষ্টি হয়েছে, বা নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

নখের উপর সুনির্দিষ্ট সাদা দাগ

সাদা দাগ সব নখে ছড়িয়ে পড়লে

পিটেড এবং ফ্লাকি দাগ

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি হল নখ। আলফা-ক্যারোটিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি নখের প্রধান কাজ নিচে থাকা নরম ত্বককে সুরক্ষা দেওয়া। প্রায়ই নখে ছোট কিংবা বড় সাদা দাগ দেখা যায়। এই সাদা দাগ পড়ার বিষয়টিকে সবাই কমবেশি স্বাভাবিকভাবেই নেন। এ ছাড়া এই দাগগুলো ধীরে ধীরে নিজ থেকেই চলে যায়। অনেক সময় কারও কারও নখে দীর্ঘদিন ধরে থাকে সাদা দাগগুলো। এ ছাড়া যদি প্রতিটি নখেই এমন দাগ হয় সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধছে।

নখে সাদা দাগ কেনো হয়? নখের এই সাদা দাগকে সাধারণত লিউকোনিচিয়া বলা হয়। অর্থাৎ নখের বিবর্ণতা। শরীরে কোন ভিটামিন, খনিজ বা কোন জরুরি উপাদানের ঘাটতি হলে এই সাদা দাগগুলো নখে দেখা যায়। অথবা নখে কোন আঘাত পেলেও অনেক সময় এরকম দাগ দেখা যায়। নখে দীর্ঘদিন ধরে এই সাদাদাগ থাকা মানে জটিল কোন রোগ আক্রান্ত হওয়াও বোঝায়।

নখের সাদা দাগের কারণ

১. ছত্রাক সংক্রমণ -নখের সাদা দাগের একটি কারণ হল ছত্রাকের সংক্রমণ। হোয়াইট সুপারফিশিয়াল অনাইকোমাইকোসিস নামক একটি ছত্রাকের কারণে হাতে বা পায়ের নখগুলিতে সাদা দাগ দেখা যায়। এ রকম ছত্রাকের কারণে অনেক সময় হাত-পায়ের নখ ফাটা, মোটা হয়ে যাওয়া বা হলুদ বা বাদামি রং ধারণ করে।

২. খনিজের ঘাটতি-নখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং কপারের মতো খনিজ উপাদানের উপর নির্ভর করে। এসব উপাদানের ঘাটতি দেখা দিলে নখের সামগ্রিক গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা প্রভাবিত হয়। তখন নখে সাদা দাগের মত দেখা যায়।

৩. অ্যালার্জির কারণ-নেইলপলিশ, গ্লস, হার্ডেনার বা নেইলপলিশ রিমুভারে অনেকের অ্যালার্জি থাকে। আর এই অ্যালার্জির কারণেই অনেক ক্ষেত্রে নখে সাদা দাগ তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া অনেকে নখ সাজাতে অ্যাক্রিলিক বা জেল প্রয়োগ করে থাকে। এসব রাসায়নিক নখকে খারাপভাবে ক্ষতি করতে পারে এবং সাদা দাগের কারণ হতে পারে।

৪. নখে আঘাত পাওয়া/ ম্যানিকিউর-দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর অভ্যাস আছে অনেকের। এ ছাড়া নখ দিয়ে শক্ত কোন বস্তুতে আঘাত করা, টিনের নখ খোলা এসব কারণেও অনেক সময় নখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ম্যানিকিউর করার সময় সতর্ক না থাকলে বা খুব ঘন ঘন ম্যানিকিউরও নখের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে করে নখে সাদা দাগ দেখা যেতে পারে।

৫. ভারী ধাতুর বিষক্রিয়া-আর্সেনিক এবং সীসা থেকে ভারী ধাতব বিষক্রিয়ার ফলে নখজুড়ে ‘মিউস লাইন’ নামে সাদা ব্যান্ড তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিক দূষিত খাবার/ পানি পান করলে এ রকম হয়ে থাকে।

৬. নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ-কিছু ওষুধ নখে সাদা দাগ সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সালফোনামাইড। এই ওষুধগুলোয় নখ পাতলা হয়ে ভঙ্গুরতার মতো সমস্যা হতে পারে।

নখের সাদা দাগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ-১. নখের সাদা দাগের প্রতিকার হিসেবে ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত যাতে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। মাছ, ডিম, চর্বিহীন মাংস, বাদাম, সবুজ শাকসবজি, কলিজা ও ফলমূল ইত্যাদি খাবার নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত।-২. অ্যালার্জির কারণে নখে সাদা দাগ হলে যে পণ্যের কারণে অ্যালার্জি হয়েছে সেই পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে দিন বা এড়িয়ে চলুন। নেইল পলিশ, জেল কিংবা অ্যাক্রিলিক ম্যানিকিউর কিছুদিন বন্ধ রাখুন। ৩. দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানো বা নখ দিয়ে কিছু খোঁচানো, আঁচড়ানো বা ঘন ঘন ম্যানিকিউর করা থেকে বিরত থাকুন। ৪. নখ কাটার সরঞ্জাম ও নেইল কাটার সব সময় জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া যার যার আলাদা আলাদা নেইল কাটার ব্যবহার করা উচিত। ৫. নখ সব সময় পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখুন যাতে ছত্রাকের সংক্রমণ না হয়।

চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন? তবে সব সময় নখের সাদা দাগ সাধারণ মনে করে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। নখের সাদা দাগ নিয়ে আপনার যদি সন্দেহ হয় যে ছত্রাক সংক্রমণের ফলে বিবর্ণতা সৃষ্টি হয়েছে, বা নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: