সততা ও বিশ্বস্ততা মানব চরিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুণ। এর মাধ্যমে সবার আস্থাভাজন হওয়া যায়। মানবজীবনে এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য জীবনে সততা ও বিশ্বস্ততার ফসল আহরণে যত্নবান হওয়া। কেননা, সততা ও সত্যবাদিতা আখলাকে হাসানার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যার মধ্যে এ গুণের সমাহার থাকবে, সমাজের সব মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা ও সম্মানের চোখে দেখবে।
সর্বোপরি আখেরাতে আল্লাহ তাআলার কাছে এর বিনিময় লাভ করবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে।সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গ লাভ করার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গী হও।’ (সুরা তওবা: ১১৯)রাসুল (সা.)-এর হাদিসেও সততা ও বিশ্বস্ততার অনেক ফজিলত এবং মর্যাদার কথা ফুটে উঠেছে। অন্তরের প্রশান্তি, নাজাত লাভ, জান্নাত অর্জন, খোদার সন্তুষ্টি এবং ধনসম্পদে বরকতের মাধ্যম বলা হয়েছে সততা ও বিশ্বস্ততাকে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘সত্যবাদী বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদগণের সঙ্গে থাকবে।’
অন্য হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের উচিত সততা ও বিশ্বস্ততা অবলম্বন করা। কেননা, সততা ও বিশ্বস্ততা মানুষকে পুণ্যের পথে পরিচালিত করে আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পরিচালিত করে। কোনো ব্যক্তি যখন সত্য কথা বলে এবং সততা ও বিশ্বস্ততার বৈশিষ্ট্য অর্জন করে, তখন সে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী সিদ্দিক হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। আর তোমরা মিথ্যা থেকে বিরত থাক। নিঃসন্দেহে মিথ্যা পাপের দিকে চালিত করে। পাপ জাহান্নামে নিয়ে যায়। ব্যক্তি যখন মিথ্যা বলে এবং মিথ্যায় মনোনিবেশ করে, তখন তার নাম আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়।’
দৈনিক বগুড়া