শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কীভাবে ও কখন সূর্যের মৃত্যু ঘটবে

কীভাবে ও কখন সূর্যের মৃত্যু ঘটবে

এক মৃতপ্রায় প্রবীণ নক্ষত্রের নাম ‘এল ২ পাপিস’। নক্ষত্রটির বয়স ১০ বিলিয়ন বছর বয়স (এক বিলিয়ন সমান ১০০ কোটি)। পাঁচ বিলিয়ন বছর আগে এই নক্ষত্রটি ঠিক আজকের সূর্যের মতো ছিল। অথচ ‘এল ২ পাপিস’ এখন যেন একটি ক্ষুদ্র সাদা বামন তারা! প্রশ্ন জাগতেই পারে, কীভাবে ও কখন সূর্যের মৃত্যু ঘটবে? এর পর সূর্যের অবস্থা কেমন হবে?

পৃথিবীর শক্তির প্রধান উৎস সূর্যও একদিন মরে যাবে! সায়েন্স এলার্ট জানিয়েছে, যখনই এই ঘটনা ঘটবে, তখন তা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবে না মানবজাতি বা কোনো পার্থিব প্রাণি। কারণ, তার আগেই প্রাণ টিকে থাকার পরিবেশ শেষ হয়ে যাবে পৃথিবী থেকে। 

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একসময় মনে করতেন, এক সময় সূর্য একটি প্লানেটারি নেবুলা বা নীহারিকায় পরিণত হবে। তখন তা হবে উজ্বল গ্যাস ও ধুলিকণার একটি পিণ্ড। যথেষ্ঠ পরিমাণ ভারি না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকবে। কিন্তু ২০১৮ সালে এমন পূর্বাভাস থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদদের একটি টিম।

বেলজিয়ামের কেইউ লিউভেন ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমির অধ্যাপক লিন ডেসিন বলেন, শক্তিশালী নাক্ষত্রিক ঝড়ে সূর্যের তীব্র ভর কমে যাবে। এর বিবর্তন-প্রক্রিয়ার শেষে সাত বিলিয়ন বছর পরে এটি ক্ষুদ্র সাদা বামন তারায় রূপান্তরিত হবে। এ সময় এটি পৃথিবীর মতো ছোট আকার ধারণ করবে। কিন্তু এটি হবে আরও ভারী। এই সাদা বামন তারার এক চা-চামচ উপাদানের ভর দাঁড়াবে প্রায় পাঁচ টন। এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সৌরজগতের গ্রহগুলোর ওপর নাটকীয় প্রভাব ফেলবে। বৃহস্পতি, শুক্রের মতো গ্রহগুলো বিশাল নক্ষত্রের মধ্যে হারিয়ে যাবে এবং ধ্বংস হবে। 

প্রতি ১০০ বছরে সূর্য তার ঔজ্বল্য বৃদ্ধি করে শতকরা প্রায় ১০ ভাগ করে। এ কথা শুনতে অনেক বেশি বাড়িয়ে বলা মনে হতে পারে। কিন্তু এই ঔজ্বল্য বৃদ্ধির কারণে পৃথিবীতে প্রাণের ইতি ঘটবে। সমুদ্রগুলো বাষ্পীভূত হয়ে খরখরে হয়ে যাবে। পৃথিবীপৃষ্ঠ এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে যে, এখানে আর কোনো পানির অণু সৃষ্টির সুযোগ থাকবে না।

সূর্যের বয়স প্রায় ৪৬০ কোটি বছর। সৌরজগতের অন্য বস্তুর বয়সের ওপর ভিত্তি করে এই বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ৫০০ কোটি বছরের মধ্যে সূর্য পরিণত হবে একটি লাল জায়ান্টে। এর কেন্দ্রীয় অংশ ক্রমশ সঙ্কুচিত হবে। এর বাইরের স্তর বিস্তৃত হবে মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত। পৃথিবী যদি তার অবস্থানে স্থির থাকে, তাহলে তাকে গ্রাস করবে সূর্য। অন্যান্য নক্ষত্রের ওপর পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে জ্যোতির্বিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, সূূর্য্যের মৃত্যু ঘটতে পারে আরো ১০০০ কোটি বছর পর।

ওই সময় নাগাদ আমরা কেউই পৃথিবীতে টিকে থাকবো না। ফলে প্রায় ১০০ কোটি বছরের মধ্যে যদি মানবজাতি অন্য কোথাও তার স্থান খুঁজে না নেয়, তাহলে সমাপ্তি ঘটবে এই জাতির, তথা পৃথিবীর প্রাণের।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই