১৩০ বছর পর বুদ্ধপূর্ণিমার পর চন্দ্রগ্রহণ হলো। যা বিরল ঘটনা। গতকাল ৫ মে পেনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে। এই গ্রহণ বাংলাদেশ থেকেও দেখা গেছে। শুক্রবার রাত ৯টা ১৪ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়। রাত ১১টা ২২ মিনিটে সর্বোচ্চ গ্রহণ ঘটে। রাত ১টা ৩১ মিনিটে শেষ হয় এই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ।
এ গ্রহণটি একটি উপচ্ছায়াজনিত গ্রহণ ছিল। পৃথিবীর প্রচ্ছায়াকে ঘিরে থাকা আবছা অন্ধকার অংশকে উপচ্ছায়া বলে, যা চাঁদের ওপর পড়লে গ্রহণকালে পূর্ণিমার চাঁদ কিছুটা অনুজ্জ্বল দেখা যাবে। তবে চাঁদের পূর্ণ বা আংশিক কোনোটিই পৃথিবী থেকে অদৃশ্য হয়নি। পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গা থেকে এ চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেছে। যাবে। যার মধ্যে ছিল এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা।
পৃথিবী চাঁদের থেকে অনেক বড়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক উপগ্রহের থেকে পৃথিবীর ছায়াও অনেক বড়। এই কারণে সূর্যগ্রহণের থেকে চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর বেশি অংশে দৃশ্যমান হয়। ৫ মে পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশে দৃশ্যমান হয়েছিল। উচিত যেখানে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ দিগন্তের উপরে দেখা গেছে।
পেনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ কী?
পূর্ণ বা আংশিক চন্দ্রগ্রহণের তুলনায় যা একেবারেই আলাদা। কেন আলাদা তারও একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্যের কক্ষপথের আকৃতির জন্যই এই গ্ৰহণ অন্যরকম হতে চলেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী, সূর্য ও চাঁদের কক্ষপথ একই তলে নেই। আর সে কারণেই একেক সময়ে একেক অবস্থায় তৈরি হয় গ্ৰহণের বিশেষ ক্ষণ। পৃথিবীর উপর সূর্যের আলো পড়ছে। এর ফলে পৃথিবীর সূর্যের মুখোমুখি দিক আলোকিত ও পেছনের দিকটি অন্ধকার থাকে। তবে এই অন্ধকারের দুইটি ভাগ রয়েছে। একটি ভাগ গাঢ় অন্ধকার বা ছায়া, আর অন্য ভাগটি কম গাঢ় বা উপচ্ছায়া।
পৃথিবীর ঠিক পিছনে আড়াআড়ি রেখায় থাকে গাঢ় অন্ধকার। সেই গাঢ় অন্ধকারের দুই ধার (বর্ডার) বরাবর থাকে উপচ্ছায়ার অন্ধকার। এবারে গ্ৰহণের সময় সেই উপচ্ছায়া এলাকায় চাঁদ থাকলেই তাকে বলা হয় পেনাম্ব্রাল চন্দ্রগ্ৰহণ।
দৈনিক বগুড়া