শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ ২০২৩

লিডে চোখ রেখে প্রথম দিন শেষ বাংলাদেশের

লিডে চোখ রেখে প্রথম দিন শেষ বাংলাদেশের

সংগৃহীত

দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে ব্যাট হাতে খুব বেশি কিছু করতে না পারলেও বল হাতে দাপট দেখাচ্ছে টাইগাররা। লিডে চোখ রেখে প্রথম দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ৫৫ রান। কিউই বোলারদের তোপে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। প্রথম ৫ ওভারে দুজন যোগ করেন ১৯ রান। ষষ্ঠ ওভারে এসে বাধে বিপত্তি। এ সময় মিরাজের বলে ১১ রানে বোল্ড হন কনওয়ে।

পরের ওভারে ফের উইকেট শিকারের আনন্দে মাতে বাংলাদেশ। এবার তাইজুলের বলে ফেরেন আরেক ওপেনার ল্যাথাম। নুরুল হাসান সোহানের দারুণ রিফ্লেক্স ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৪ রান করেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই ভালো করেন কেন উইলিয়ামসন। তবে আজ তাকে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। হেনরি নিকোলস করেছেন ১ রান। বিপদের মুখে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন টম ব্লান্ডেল।

মাত্র ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা নিউজিল্যান্ডের জন্য স্বস্তি হয়ে আসে আলোকস্বল্পতা। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে নির্ধারিত সময় থেকে এক ঘণ্টা আগেই খেলা বন্ধ হয়। অন্যথায় কিউইরা আজই গুটিয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না।

নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেটের মাঝে মিরাজ তিনটি ও তাইজুল দুটি নিয়েছেন।

এর আগে সিলেটে প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। যেখানে দিনের শুরুতে টস জেতেন টাইগার কাপ্তান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

কুয়াশা ভেজা সকালে প্রথম ১০ ওভার সবচেয়ে কঠিন সময় ধরা হয়। এই সময়টুকু নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন দুই ওপেনার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে আলোর তীব্রতা যেমন বেড়েছে, ততই মলিন হয়েছে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডের চেহারা।

শুরুটা ইনিংসের ১১তম ওভারে। মিচেল স্যান্টনারকে কী ভেবে জাকির হাসান ওভাবে উড়িয়ে মারতে গেলেন কে জানে! ৮ রানে তার সেই আউটকে আত্মহত্যা বললে হয়তো ভুল হবে না। আর পরের ব্যাটাররাও যা করেছেন, কাকে ছেড়ে কাকে দোষ দেওয়া যায়!

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। অথচ একাদশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটারই সাজঘরে ফিরেছেন সবচেয়ে হাস্যকর উপায়ে। বলা ভালো তার কল্যাণে বিরল এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট যে টেস্ট ইতিহাসেই দেখা গেল দ্বিতীয়বার!

বাকিদের মাঝে শাহাদাৎ হোসেন দীপু ৩১, মেহেদী মিরাজ ২০ ও ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় করেছেন ১৪ রান। শেষদিকে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম হাসান। আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

উৎসবের দিনে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার গ্লেন ফিলিপস। মাত্র ৩১ রানে তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট। সমান উইকেট শিকারের আনন্দে মেতেছেন মিচেল স্যান্টনারও। এছাড়া আজাজ প্যাটেল দুটি ও টিম সাউদি একটি উইকেট নেন।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: