সংগৃহীত
দেশের পুষ্টি নিরাপত্তা, খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণ এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে সেন্টার ফর ফুড ফোর্টিফিকেশন, কোয়ালিটি অ্যান্ড সেফটি (সিএফকিউএস) প্রতিষ্ঠার বিষয়ে পরিচালিত ফিজিবিলিটি স্টাডির ভ্যালিডেশন কর্মশালা হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর লেকশোর হাইটসে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুঁইয়া। তিনি বলেন, খাদ্য ফর্টিফিকেশন ও মাননিয়ন্ত্রণের আধুনিক গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষাগার সুবিধা বাড়াতে সিএফকিউএস প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। এ কেন্দ্রটি দেশে নিরাপদ, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিতে একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ‘প্রফেসর মোহাম্মদ হোসাইন সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির’ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুলতান আলম, বাকৃবির সিন্ডিকেট সদস্য ও কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল হক, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশনের (গেইন) লার্জ স্কেল ফুড ফর্টিফিকেশন ও ভ্যালু চেইনের পোর্টফোলিও লিড ড. আশেক মাহফুজ।
তারা বলেন, খাদ্য মান পরীক্ষায় আধুনিক ল্যাব স্থাপন, শিল্পখাতে ফোর্টিফিকেশনের সঠিক প্রয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং নীতিগত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে সিএফকিউএস।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশনের (গেইন) ফুড ফর্টিফিকেশন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আবুল বাশার চৌধুরী ফিজিবিলিটি স্টাডির পটভূমি উপস্থাপন করেন। পরে মূল ফিজিবিলিটি স্টাডির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওয়াকিলুর রহমান।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল, টেকনোসার্ভ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। তারা প্রস্তাবিত কেন্দ্রের কাঠামো, ল্যাবরেটরি সক্ষমতা, মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা নিয়ে গঠনমূলক মতামত দেন।
কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রতিবেদন এবং অংশগ্রহণকারীদের আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়, কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা হলে দেশের পুষ্টি নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। দেশে বিদ্যমান পুষ্টি ঘাটতিজনিত জনস্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলায় ফুড ফর্টিফিকেশন কার্যক্রম আরও সমন্বিত ও বেগবান হবে। সে সঙ্গে খাদ্য মান পরীক্ষায় আধুনিক সক্ষমতা তৈরি হবে।
সূত্র: কালবেলা




















