
সংগৃহীত
টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পরশুরামের সঙ্গে জেলা সদরের। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ছাগলনাইয়া-খন্ডলহাই সড়ক ব্যবহার করছেন। তবে ওই সড়কে যানবাহন কম এবং ভাড়া বেশি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরশুরাম ও ফুলগাজীতে ১৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন ঠেকাতে আগেভাগে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ফেনী থেকে মুন্সিরহাট পর্যন্ত যাওয়া গেলেও এরপর পুরো সড়ক পানির নিচে। তাই ঘুরপথে খন্ডলহাই সড়ক ব্যবহার করছি।’ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শ্যামল রায় বলেন, ‘পরশুরাম যেতে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। প্রতিদিন যাতায়াতে এটা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।’
রাজু নামের স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গতকাল রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ করে হঠাৎ করে বাড়িতে পানি উঠে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের ভেতর হাঁটু সমান পানি উঠে যায়। কোনোরকমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি।
এ দিকে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম জানান, ‘মুহুরী নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল থেকে পানি প্রবাহ কিছুটা কমলেও বাঁধ ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজীর অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।’
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার অন্তত সাতটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙেছে। এতে ১৪টি গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দেড় শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সূত্র: আজকের পত্রিকা