![দেশের সব অবৈধ ইটভাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেশের সব অবৈধ ইটভাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ](https://www.dainikbogura.com/media/imgAll/2021November/Screenshot_3-2211141406.jpg)
বাংলাদেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার আগামী ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা জারি করতে বলেছেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব এবং পরিবেশ সচিবকে এ নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না। জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ এমন বিধান থাকলেও বাংলাদেশের বেশির ভাগ জেলায় শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করছে। জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এই মর্মে রিপোর্ট প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে গত ১৩ নভেম্বর এইচআরপিবি হাইকোর্টে রিট করে।
রিটের শুনানি শেষে আদালত ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন। বাংলাদেশের সব জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ও জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ও ভাটা কাঠ ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানাতে বলেছেন।
আদালত এক অন্তবর্তীকালীন আদেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব এবং পরিবেশ সচিবকে সব জেলার জেলা প্রশাসকদের কার্যকরী নির্দেশনা দিতে বলেছেন। ৭ দিনের মধ্যে যেন স্ব স্ব এলাকায় অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার বন্ধ হয়। ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালত অপর এক আদেশে পরিবেশের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভাগীয় কমিশনারদের ১ সপ্তাহের মধ্যে তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মনিটরিং টিম গঠন করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার স্থগিতকরণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। আদালত ২ সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক বগুড়া