মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা দিচ্ছে তৈশী...

কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা দিচ্ছে তৈশী...

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাবার লাশ বাড়িতে রেখে জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা পিএসসিতে অংশ নিতে হলো তৈশী বসুকে। সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে গত ৭ দিন মৃত্যুর  সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার রাতে মারা যান তৈশীর বাবা অনিমেষ বসু (৪৫)। 
নিহত অনিমেষ  গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেকর্ড কিপার ছিলেন। নিহতের ছোট ভাই বিপুল বসু জানিয়েছেন, গত ১১ নভেম্বর গোপালগঞ্জ শহরের বাসা থেকে একটি থ্রি-হুইলারে (মাহেন্দ্র) করে টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে যাচ্ছিলেন অনিমেষ বসু।

টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা নতুন বাজার এলাকায় পৌছালে অপর একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইককে ওভারটেক করতে  গেলে টুঙ্গিপাড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গোল্ডেল লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। 
এতে মাহেন্দ্রযাত্রী লিমন মুন্সী ও অনিমেষ বসুসহ চার যাত্রী আহত হন। পরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হাসপাতালে লিমন মুন্সি মারা যান। নিহত লিমন মুন্সী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের মাটলা গ্রামের মোমরেজ মুন্সীর ছেলে। 
তিনি রূপালী ব্যাংক টুঙ্গিপাড়া শাখায় এমএলএসএস পদে কমরত ছিলেন। গুরুতর আহতাবস্থায় অনিমেষ বসুকে প্রথমে খুলনা ও পরে হেলিকপ্টার করে ঢাকার আয়শা  মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে অনিমেষ বসু মারা যান।  
অনিমেষ বসুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার বাড়িতে। বাড়িতে বাবার লাশ রেখে  ছোট মেয়ে পিএসসি পরীক্ষার্থী তৈশী বসুকে পরীক্ষা দিতে হলো।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: