সংগৃহীত
কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। তা ছাড়া কোনো কারণে কিডনিতে সংক্রমণ হলেও রক্তে এই উপাদান বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এমন কিছু ওষুধ রয়েছে, যেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেক সময়ে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়।
শরীরে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। কী কী উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
• শরীরে হঠাৎ তরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘ডিসনিয়া’। কিডনি বিকল হলে এই ধরনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
• কোনো ব্যক্তির রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে তিনি হঠাৎ অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ করতে পারেন। খুব বেশি কায়িক শ্রম না করেও বিধ্বস্ত লাগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
• রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে বার বার প্রস্রাবের বেগ আসে। তবে এটিই বহুমূত্র রোগের একমাত্র কারণ নয়। রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলেও এমনটা হতে পারে।
• রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে অনেকেরই গা গুলায়, বমি পায়। তাই গা গুলালেই তা গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা হজমের সমস্যা বলে ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই।
• অনেক ক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে পায়ের পাতা ফুলে যায়। আবার কিডনির গোলমালে শরীরে তরল জমতে শুরু করলেও পায়ের পাতা ফুলে উঠতে পারে।
সূত্র: Dhaka post