শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

কর্মচারীর গ্রাম দেখতে ত্রিশালে সৌদি নাগরিক

কর্মচারীর গ্রাম দেখতে ত্রিশালে সৌদি নাগরিক

দেলোয়ার হোসেন ও মনির হোসেন দুই ভাই। মনির ছয় বছর আর তার বড় ভাই দেলোয়ার চার বছর আগে সৌদি আরবে যান। সৌদি আরবের জেদ্দায় আবু নাসের ও তার আরেক ভাইয়ের বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন তারা। সেখানে কাজ করতে গিয়ে মালিকদের সঙ্গে দুই ভাইয়ের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

গত বুধবার আট দিনের সফরে সেই ভালোবাসার টানে কর্মচারীর গ্রাম দেখতে বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ত্রিশালের আসেন আবু নাসের। তবে দেলোয়ার ও মনির এখন সৌদি আরবেই রয়েছেন। সরেজমিন দেলোয়ারদের বাড়ি ঘুরে দেখা গেছে, আবু নাসের বড়শি দিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরছেন। জাল দিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরা দেখছেন। গ্রামীণ পরিবেশে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন দেখে তিনি খুবই আনন্দিত। স্থানীয় বাজার থেকে নিজে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন শাক-সবজি কিনছেন। প্রবাসী দেলোয়ারের চাচা আব্দুস সাত্তার তার সঙ্গে আরবিতে কথা বলেন। অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলেও আব্দুস সাত্তার সহযোগিতা করছেন।

সৌদি নাগরিক আবু নাসের বলেন, দেলোয়ার ও মনির আমাদের খুবই আস্থাশীল। তাদের আমি অনেক ভালোবাসি। দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে সততা ও কাজের দক্ষতার কারণে তাদের ওপর আমরা আস্থা রাখি। তাদের ভালোবাসার টানে এখানে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। তাদের পরিবারের লোকজন অনেক ভালো। সৌদিতে বাংলাদেশের কর্মজীবীদের কার্যকলাপ অনেক ভালো। তারা অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। তিনি আরো বলেন, আমরা তাদের নিজেদের পরিবারের সদস্যদের মতোই মনে করি। এখানে যা দেখছি, সবাই কাজকর্ম করে। মুরগির ফার্ম আছে, ক্ষেত-খামার আছে। নিজেরাই মাছ চাষ করে। কোনো তরকারির জন্য হোটেলে যাওয়া লাগে না। আর আমাদের এসবের জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী থাকতে হয়। এ বিষয়গুলো খুব উপভোগ করছি।

প্রবাসী দেলোয়ারের বাবা মিন্টু মিয়া বলেন, তিনি আট দিন আমাদের এখানে থাকবেন। আমরা চেষ্টা করছি, তিনি যেন বাংলাদেশের মানুষ সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা নিয়ে যেতে পারেন। তাদের সঙ্গে আমাদের আত্মিক সম্পর্কটা যেন আরো সুদৃঢ় হয়, এটাই প্রত্যাশা।সৌদিপ্রবাসী দেলোয়ার মোবাইলে বলেন, মালিক ও আমাদের একসঙ্গে কোথাও যাওয়ার সুযোগ হয় না। তাই তিনি একাই গত ৬ সেপ্টেম্বর আমাদের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেছেন। আমার পরিবারের লোকজন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে বরণ করে নিয়ে গেছেন। আশা করি, আমাদের গ্রাম ও গ্রামীণ পরিবেশ দেখে তার ভালো লাগবে। তাতে আমাদের মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদিতে ফিরবেন তিনি।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: